ডার্ক মোড
Thursday, 07 November 2024
ePaper   
Logo
মেলান্দহে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের তিন নেতা বাধার সম্মুখীন

মেলান্দহে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের তিন নেতা বাধার সম্মুখীন

জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরের মেলান্দহে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (প্রস্তাবিত জামালপুর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধার মুখে পড়েন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি
হাফিজুর রহমান রহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাকিবুল ইসলাম চৌধুরী এবং আব্দর রহিম রনি।

সাংগঠনিক সফরের অংশ হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদলের সাংগঠনিক কাঠামো এবং নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভ্রাতৃবন্ধন সৃষ্টির লক্ষ্যে ওই নেতারা জামালপুরে আসেন। কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের কার্যক্রম শেষে ৬ নভেম্বর দুপুরের দিকে বঙ্গমাতা বিশ^বিদ্যালয়ে আসলে এই অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর বিগত দিনে আ’লীগ এবং ছাত্রলীগের যাঁতাকলে ক্ষত-বিক্ষতের তীক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মচারিদের মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার দাবিতে স্বোচ্চার হয়। এজন্য আ’লীগে লেজুড়ে থাকা ভিসি-রেজিস্ট্রারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা চলছিল। এমন পরিস্থিতিতে ভিসিসহ ৫জন পদত্যাগে বাধ্য হন।

বর্তমানে নতুন ভিসি-প্রোভিসির নিয়োগের পর শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারিদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ^বিদ্যালয়কে রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এমতাবস্থায় ক্যাম্পাসে ঘটাকরেই ছাত্রদলের একটি কর্মসূচি পালন করায়, সাধারণ শিক্ষার্থীসহ নড়েচড়ে বসেন বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সংক্রান্ত খবরাখবর প্রকাশ হওয়ায় সাংবাদিকদেরও হুমকি প্রদর্শন চলমান। এমন পরিস্থিতিতে ঘটনার দিন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের বিষয়টি সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভালোভাবে নেয়নি। ফলে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতাদেরকে ক্যাম্পাসে রাজনীতির বীজ বপন প্রতিহত করতে বাধা প্রদানসহ বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ওই নেতাদের বাকতিন্ডার শেষ পর্যায়ে বিব্রত এবং তোপের মুখে পড়েন। বিষয়টি নেটিজেনদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়েছে।

বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-বৈষম্যবিরোধী কেন্দ্রীয় কমিটির সহসমন্বয়ক রিয়াদ হাসান ও বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম শরিফসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, যেখানেই রাজনীতি, সেখানেই সংঘাত, অস্বস্তির নোঙরামি। এই প্রতিষ্ঠান রাজনীতিমুক্ত চাই। কলুষিত চাই না। ক্যাম্পাসের বাইরে কেও রাজনীতি করলে আপত্তি করব না।

মেলান্দহ বিএনপি’র সদস্য সচিব নূরুল আলম সিদ্দিকী জানান-কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের আগমনের বিষয়টি সাংগঠনিক নিয়মে জানতে পারিনি। তবে তাদের আগমনের খবরে বিএনপি’র অংঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরাও স্পটে গিয়েছিলেন। সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতাদের সহযোগিতার জন্য আমরাও গিয়েছিলাম।

এ ব্যাপারে নবাগত ভিসি প্রফেসর ড. রোকনুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে ফিশারিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাদিকুর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানান-আমরা শিক্ষক-কর্মচারিরাও এগিয়ে এসে উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত করেছি। ছাত্রদলের নেতাদের রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে তারেক রহমানের ৩১ দফার প্রচারণামূলক কিছু প্রকাশনা এবং শিক্ষার্থীদের চাওয়া পাওয়ার বিষয়ে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করলে ছাত্ররা বিক্ষুব্দ হন। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতেই ভিসির সাথে কথা বলার পর তারা চলে গেছেন।

ছাত্রদলের ওই নেতাদের আগমনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবেও তারেক রহমানের পক্ষে প্রচারণার কথা স্বীকার করেছেন। একই সাথে তৃণমূলের শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়াসহ সাংবাদিকদের সাথে ছাত্রদলের কর্মীদের অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়টিও তারেক রহমানের কাছে তুলে ধরার কথা ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন