ডার্ক মোড
Thursday, 07 November 2024
ePaper   
Logo
মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য আমদানির শাস্তি শিথিল চায় বিটিএমএ

মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য আমদানির শাস্তি শিথিল চায় বিটিএমএ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলমান ব্যবসায়িক মন্দা ও বহুবিধ বিরূপ পরিস্থিতি বিবেচনায় যেকোনো ভুলের কারণে প্রদত্ত শাস্তি বাতিল বা যৌক্তিক করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।

কাস্টমস আইন ২০২৩ এর ৮২ ধারা অনুসারে পণ্য ঘোষণায় প্রদত্ত তথ্যের সঠিকতা এবং সম্পূর্ণতা; উপস্থাপিত যেকোনো দলিলের সত্যতা; প্রদেয় সব শুল্ক-কর প্রদান অন্যান্য চার্জ এবং সব প্রকার বাধ্যবাধকতার কথা বলা আছে। ৮২ ধারায় সংগঠিত অপরাধ সমূহের জন্য আইনের ১৭১ এর ১৯ ধারায় জরিমানা ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা থেকে অনধিক ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি পণ্য বাজেয়াপ্ত করার বিধান রয়েছে।

সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে ওই শাস্তি বাতিল বা শিথিলের অনুরোধ করা হয়েছে। যা সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ।

চিঠিতে বলা হয়, চলমান ব্যাবসায়িক মন্দা সর্বোপরি বহুবিধ বিরূপ পরিস্থিতিতে সদস্য মিলগুলো যারা স্বল্প মুনাফা লাভ করে তাদের পক্ষে ৮২ ধারা সংক্রান্ত এই অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যয়ভার বহন করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পণ্য আমদানি প্রক্রিয়ার সঙ্গে তিন বা ততোধিক পক্ষ সংশ্লিষ্ট, যারা প্রয়োজনীয় তথ্য অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে প্রদান করে থাকেন এবং তাদের এই কার্যক্রমের ওপর আমদানিকারকের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেও ইমপোর্ট জেনারেল মেন্যুফেস্টে (আইজিএম) ভুলের পরিমাণ শূন্য বা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় কমিয়ে আনা কোনোক্রমেই সম্ভব হয়নি। কাজেই অন্য পক্ষের ভুলের বা পদ্ধতিগত জটিলতার দায় আমদানিকারকের ওপর বর্তানোর যৌক্তিকতা বিবেচনার দাবি রাখে ।

কাস্টমস আইন ২০২৩ এর উল্লিখিত ধারায় বর্ণিত জরিমানা সম্পূর্ণ বাতিল অথবা যৌক্তিক পর্যায়ে সীমিত নিমিত্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।

এতে আরও বলা হয়, আইজিএমে যেকোনো ধরনের ভুলের জন্য বিগত এক মাসের অধিককাল সময় থেকে ঢাকা বা চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ কর্তৃপক্ষ কাস্টমস আইন, ২০২৩ এর ৮২ ধারায় সংগঠিত অপরাধের জন্য উক্ত আইনের ১৭১ ধারার ১৯ নং ক্রমিকে উল্লিখিত জরিমানা ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা আরোপ করা হয়েছে। যা নিকট অতীতেও ১০ হাজার টাকা ছিল। এছাড়া একই বিষয়ে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আদায়ের বিধান থাকায় তা অদূর ভবিষ্যতে বাস্তবায়নের আশঙ্কাও বিদ্যমান রয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, শিল্প খাতের প্রকট জ্বালানি সংকটসহ বহুবিধ সমস্যার কারণে দেশের রপ্তানিমুখী অধিকাংশ মিল তাদের উৎপাদন সক্ষমতার ৫০-৬০ শতাংশ ব্যবহার না করার ফলে ধীরে ধীরে তাদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সংকুচিত হয়ে পড়েছে। প্রকৃতপক্ষে বর্তমানে সিংহভাগ টেক্সটাইল মিল স্থবির বা বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন