ডার্ক মোড
Tuesday, 29 April 2025
ePaper   
Logo
মিঠাপুকুরে  ফাঁদে ফেলে দ্বিতীয় বিয়ে ও প্রথম স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

মিঠাপুকুরে ফাঁদে ফেলে দ্বিতীয় বিয়ে ও প্রথম স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

 

 
মো : শাহ আলম মিয়া ,মিঠাপুকুর (রংপুর)প্রতিনিধি
 
রংপুরের মিঠাপুকুরে দ্বিতীয় বিয়ের ফাঁদে ফেলে এক নারীকে নিঃস্ব এবং প্রতারক স্বামী কর্তৃক প্রথম স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত স্বামীর বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী এবং তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। 
 
শনিবার (২৬-এপ্রিল) মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অভিযুক্ত স্বামীকে হত্যাকারী  হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয় এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানানো হয়। 
 
 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই নারী জানান, মিঠাপুকুর উপজেলার বলদিপুকুর বাসস্ট্যান্ডে তার ভাতের হোটেল ছিল। ভাতের হোটেল চলাকালীন সময়ে ওই নারীর কাছে শালাইপুর মধ্যপাড়া গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার পুত্র আলু ব্যবসায়ী তহিদুল ইসলাম (৪০) আর্থিক লেনদেন শুরু করেন। আর্থিক লেনদেনের একপর্যায়ে তহিদুল ইসলাম ওই নারীর কাছে মোটা অংকের টাকা ধার নেন। ধারের টাকা দিতে না পেরে একপর্যায়ে ওই নারীকে দ্বিতীয় বিয়ের প্রলোভণ দেখান। প্রথমে ওই নারী তহিদুলকে বিয়ে করতে না চাইলে বিভিন্ন অপবাদের কারনে  দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধ্য হন।
 
দ্বিতীয় বিয়ের পর ওই নারীকে নিজের বাড়িতে প্রথম স্ত্রী থাকায় নিয়ে না গিয়ে নারীর বাবার বাড়িতে রাখেন। নারীর বাবার বাড়িতে রেখে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে চার লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। টাকা হাতিয়ে নেওয়া ছাড়াও নারীর জমি চাষবাদ, গরু বিক্রি, বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন উত্তোলন করান। 
 
এরই মধ্যে গত (১৪ ফ্রেব্রুয়ারি) তহিদুলের প্রথম স্ত্রী রুমানা বেগম, তহিদুলের নিজ বাড়িতে তহিদুলের সুপরিকল্পিত গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিট মারা যান। প্রথমে এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে তহিদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তহিদুল বিভিন্ন কৌশলে তা দূর্ঘটনা বলে ধামাচাপা দেন। 
 
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, তহিদুল পরকীয়া সম্পর্কে যুক্ত। তার অর্থের লোভে সে তাকে বিয়ে করেছে। টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে মারধর সহ যৌতুকের জন্য চাপ দেন। তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার সময় তহিদুল তার প্রথম স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তার বিচার দাবি করেন তিনি। 
 
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, অভিযোগের বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রথম স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি তার জানা নেই। অভিযোগের সত্যতা জানতে অভিযুক্ত তহিদুলকে একাধিক বার ফোন দিলেও তার ব্যবহৃত ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
 

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন