বাকৃবিতে কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত
বাকৃবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে ওই সেমিনার ও প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
"কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করা (এফএমডিপি)" প্রকল্পের অর্থায়নে সেমিনারের আয়োজন করে বারির ফার্ম মেশিনারী এন্ড পোস্টহারভেস্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।
কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে এবং বারির উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকতা ড. মোহাম্মদ এরশাদুল হকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ উপস্থিত হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, প্রক্টর ড. মো. আবদুল আলীম, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ হোসেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. নুরুল আমিন।
মূল প্রবন্ধে নুরুল আমিন বলেন, কৃষিতে শ্রমিকের ক্রমবর্ধমান ঘাটতি বর্তমান উৎপাদনের একটি বড় অন্তরায়। যুবকরা কৃষি কাজের চেয়ে বিদেশ বা শিল্প খাতে ঝুঁকে পড়ছে। ফলে কৃষি শ্রমিকের সংকট তৈরি হচ্ছে। এ সংকট কাটাতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণই হতে পারে কার্যকর সমাধান। দেশের বৃহত্তম গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারি, কৃষকদের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছে, যার মধ্যে কৃষি যন্ত্রপাতি অন্যতম। তাদের ফার্ম মেশিনারি ও পোস্টহারভেস্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এ পর্যন্ত ৫৫টি কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবন করেছে, যা মাঠ পর্যায়ে সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, যান্ত্রিকীকরণ ছাড়া চলমান কৃষির ভিত্তি অযৌক্তিক হয়ে পড়েছে। উন্নয়নের সাথে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ চলমান। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ তরুণ প্রজন্মকে কৃষির দিকে আকৃষ্ট করেছে। আজকের এই প্রতিভা অন্বেষণের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম উজ্জ্বীবিত হয়ে দেশকে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাবে এই আশা ব্যক্ত করছি।