বাংলাদেশসহ ৩৯ দেশের জন্য ৪৭.৪ বিলিয়ন ডলার চাইলো ওসিএইচএ
যুক্তরাষ্ট্র ব্যুরো
বাংলাদেশসহ ৯টি শরণার্থী আশ্রয় প্রদানকারী দেশ ও অঞ্চল এবং যুদ্ধ-দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত আরও ৩০ দেশের ৩০ কোটি ৫০ লাখ অসহায় মানুষের জন্যে ৪৭.৪ বিলিয়ন ডলারের তহবিল চেয়েছেন জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ-সমন্বয়কারি সংস্থা ‘ওসিএইচএ’র প্রধান টম ফ্লেচার।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের মর্যাদায় টম ফ্লেচার এ দায়িত্ব পালন করছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতির আলোকে ৪ ডিসেম্বর বুধবার এক বিবৃতিতে টম ফ্লেচার ২০২৫ সালের জন্যে এই অর্থ চেয়েছেন বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে। সংশ্লিষ্ট সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, একাধিক অবিরাম যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দীর্ঘস্থায়ী মানবিক আইনের ঘাটতির কারণে আগামী বছর ৩০৫ মিলিয়ন মানুষকে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা (ওষুধ, চিকিৎসা, খাদ্য-সামগ্রি, আশ্রয়, পোশাক-আশাক, শিক্ষা-সমাগ্রি ইত্যাদি) দিতে হবে। কারণ, গোটাবিশ্ব উত্তপ্ত একটি অগ্নিকুণ্ডে নিপতিত। আমরা এখোন বিশ্বব্যাপী পলিক্রিসিসের মোকাবেলা করছি এবং এটি বিশ্বের সবচেয়ে নাজুক মানুষদের ভুক্তভোগী করেছে। অসহায় আর দুর্বল মানুষেরা জীবন দিয়ে এহেন পরিস্থিতির প্রায়শ্চিত্য করছেন। আমরা দ্বন্দ্বের প্রভাব মোকাবেলা করছি-একাধিক দ্বন্দ্ব এবং দীর্ঘ মেয়াদি এবং আরো তীব্র হিংস্রতার সংকট ঘনিয়ে আসছে।
মানবিকতার কাজ করছে এমন ১৫ শতাধিক সংস্থার সমন্বয়ে ওসিএইচএ’র সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী চরম দুর্দশায় নিপতিত ৩০৫ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে মাত্র ১৯০ মিলিয়নের কাছে ত্রাণ-সামগ্রী পৌঁছানো সম্ভব হবে যদি প্রত্যাশা অনুযায়ী তহবিল পাওয়া যায়। ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআরসি) দুর্গতদের পাশে পৌঁছা সম্ভব হচ্ছে না, কারণ সেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সহিংসতা হ্রাসের কোন লক্ষণ নেই। ফ্লেচার বলেন, ডিআরসিতে চলমান সংঘাত স্বত্বেও আমরা ত্রাণ-সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের কর্মীরা দুর্ভিক্ষে নিপতিতদের পাশে দাঁড়াতে চায়। তবে এজন্যে দরকার প্রত্যাশার পরিপূরক তহবিল-সামগ্রী। তাই যাদের সামর্থ্য আছে, তারা যেন উদার হস্তে এগিয়ে আসেন। এহেন পরিস্থিতির মোকাবেলার মধ্যদিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাত তৈরীর নেপথ্য শক্তিদের পরাস্থ করার পথকেও সুগম করতে হবে সামনের বছরেই।