পিরোজপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় শ্রমিকদলের ৪ নেতা বহিষ্কার
পিরোজপুর প্রতিনিধি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সম্বলিত ব্যানার নিয়ে শহীদ বেদীতে ফুল দিতে গেলে শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে এক প্রক্টরসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শ্রমিক দলের ৪ নেতাকে বহিষ্কার করেছে জেলা কমিটি।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে পিরোজপুর শহরের নিরব হোটেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত ৪ জন পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও এখনো পর্যবেক্ষণে রয়েছেন আহত প্রক্টর ড. মোঃ মুসা খান। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়সহ হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে পিরোজপুর শহরের বলেশ্বর নদীর পাড়ে শহীদে বেদীতে ব্যানার সহকারে ফুল দিতে যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের ব্যানারটি সরিয়ে ফেলতে বলে বিএনপি’র অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যানারটি সরিয়ে ফেলে। এরপর ফুল দেওয়া শেষে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর মুসা খান সহ শিক্ষার্থীরা শহরের নিরব হোটেলে নাস্তা করার সময় শ্রমিক দলের ১৫-২০ জন তাদের উপর হামলা করে। এ সময় হাতাহাতিতে প্রক্টর সহ উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়। পরবর্তীতে আহতদের উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ২ শিক্ষার্থী ও শ্রমিক দলের ২ জন প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় তারা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন টিপু বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্র লীগের শ্লোগান দিয়ে শিক্ষার্থীরা শহীদ বেদিতে প্রবেশ করছিল। এছাড়া বিশ্ব বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এরপরও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেখে নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হন।