
নারায়ণগঞ্জে পৌনে ৫ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল
স্টাফ করসেপন্ডন্টে, নারায়ণগঞ্জ
শনিবার (১৫ মার্চ) দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৫। সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। এবার নারায়ণগঞ্জে ৬-৫৯ মাস বয়সের ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৮ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ সিভিল কার্যালয় ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশেনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮২ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে। ৬-১১ মাস বয়ষী ২৪ হাজার ১৬৭ জন ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৯ হাজার ৮১৫ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। নাসিক এলাকায় ৩৪০টি কেন্দ্রে কেন্দ্রে ২ জন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মী শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে এ ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ব্যাতিত জেলার ৫টি উপজেলায় ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৪০ হাজার ৫০৬ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৪২ হাজার ২৯৪ জন শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৯৮ হাজার ২১২ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
৫টি উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র ১ হাজার ৫৬টি, প্রতি কেন্দ্রে মোট ৩ জন (স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীসহ) শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিটি কেন্দ্রে মোট ৩ জন (স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীসহ) শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেডিকেল অফিসার ডা. নাফিয়া ইসলাম বলেন, যেসব শিশুরা শনিবার ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন চলাকালিন টিকা খেতে পারবে না তারা পরবর্তী সাত কার্য দিবসের মধ্যে ইপিআই টিকা দান কেন্দ্রে শিশুকে টিকা খাওয়াতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন শিশুকে জন্মের ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত বুকের দুধ পান করাতে হবে এবং শিশুর বয়স ৬মাস পূর্ন হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরী সুষম খাবার খাওয়ানো বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হইবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল ফজল মো. মুশিউর রহমান বলেন, ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দুইবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা শূন্য দশমিক শূন্য চার শতাংশে নেমে এসেছে। ক্যাপসুল নিরাপদ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার তেমন কোন ঝুঁকি নেই।
এ সময় তিনি জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম সফল করার জন্য গনমাধ্যম কর্মীদেরও সহযোগীতা কামনা করেন।