
অবশেষে ৩২ তারিখের দেখা মিললো শরোনখোলা সরকারি ডিগ্রি কলেজে
বাগেরহাট প্রতিনিধি
সম্প্রতি বাগেরহাটের শরোনখোলা সরকারি ডিগ্রি কলেজের স্নাতক সম্মান তৃতীয় বর্ষ -২০২২ এর অনুষ্ঠিত অনার্স পরিক্ষার্থীদের আসন বিন্যাসের তালিকায় ৩২ তারিখের দেখা মিলেছে।বিষয়টি নিয়ে হতবাক অভিভাবক ও পরিক্ষার্থীরা।
গেল,(২৩এপ্রিল)সারা দেশের ন্যায় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ সরকারি সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষে অধ্যায়নরত ছাত্র ছাত্রীদের পরিক্ষা কেন্দ্র পড়ে পাশ্ববর্তী উপজেলা শরোনখোলা সরকারি ডিগ্রি কলেজে । কেন্দ্রে গিয়ে পরিক্ষার্থীরা কক্ষ নং ১০ এ দেখতে পান ৩২ তারিখ দিয়ে কম্পিউটার কম্পোজ করা দেয়ালে সাটানো রাষ্ট্রবিঙ্গান ও সমাজকর্মের ৫৩ জন ছাত্রছাত্রীর আসন বিন্যাসের তালিকা।
এতে নিজ নিজ আসন খুজে পেতে অনেক পরিক্ষার্থীরা বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েন।বেশ কিছু পরীক্ষার্থী তাদের নির্দিষ্ট আসন খুজে না পেয়ে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতেও দেখা যায় এসময়।নানা বিড়ম্বনা ছোটাছুটির পরে পরীক্ষা শুরু হবার ২০/৩০ মিনিট পরেও হলে প্রবেশ করতে দেখা যায় অনেককে।বিষয়টি তৎক্ষনাৎ প্রশাসনিক ভবনের অফিস কক্ষে জানালে ওখানে উপস্থিত কর্তব্যরত বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারী উগ্র মেজাজের সাথে এক পরিক্ষার্থীকে ধমক দিয়ে বের করে দেন। বিষয়টি অভিভাবক মহলে জানাজানি হলে বেশ কিছু অভিভাবক এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, শরোনখোলা সরকারি ডিগ্রি কলেজ অত্র উপজেলার একটি নামি দামী কলেজ, এরকম একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠানে এরূপ বড় মাপের ভুল হওয়া খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তাছাড়াও অর্ধ শতাধিক শিক্ষক কর্মচারীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে এই ভুল হয় তা আমাদের জানা নেই। এছাড়াও তীব্র গরমে ৩০ কিলোমিটার দূর থেকে পরীক্ষা দিতে ছুটে আসা পরিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকদের এমন উগ্র আচারণের প্রতি তীব্র নিন্দাও জানান তারা।
তারা আরও বলেন, আমরা আশাবাদী পরবর্তীতে অত্র প্রতিষ্ঠান তাদের পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি দুর থেকে আসা পরিক্ষার্থীদের সাথে আন্তরিক ব্যাবহার ও তাদের দায়িত্বে সক্রিয় ভুমিকা পালন করবেন।এদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী অনার্স পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রগুলোতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকার কথা থাকলেও তার উল্টোটা দেখা গেছে শরোনখোলা উপজেলার বিদ্যুৎ বিভাগের আচারনে, তীব্র গরম উপেক্ষা করে ৪ ঘন্টার দীর্ঘ সময়ে পরিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও ২ ঘন্টা থেমে থেমে বিদ্যুৎ থাকলেও পরীক্ষা চলাকালীন টানা আড়াই ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় অসহনীয় গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক পরিক্ষার্থী।