ডার্ক মোড
Saturday, 26 July 2025
ePaper   
Logo
মিডওয়াইফ যেখানে ডাক্তারের ভূমিকায়

মিডওয়াইফ যেখানে ডাক্তারের ভূমিকায়

শাহিনুর রহমান সোনা, রাজশাহী

গ্রামের একটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৷ আশপাশে অসচ্ছল পরিবারের সংখ্যা-ই বেশী। স্থানীয় গর্ভবতী মা'দের ফিস দিয়ে ডাক্তার দেখানোর মত স্বচ্ছলতা নেই। তবে সরকারি সুবিধায় সেখানে রয়েছে একটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র। সেখানে রয়েছেন একজন ডাক্তার সাথে মিডওয়াইফ ও অন্যান্যরা। কিন্তু ডাক্তারের কাজটি ডাক্তার করছেন বা করছেন না, সেটার থেকেও বড় ব্যাপার যে স্বাস্থকর্মী (মিডওয়াইফ) রয়েছেন তিনি ঠিকঠাক কাজ করছেন। রোগী সার্ভ করার কাজে তিনি উর্ধ্বতনদের কাছে কুড়িয়েছেন প্রসংশাও। দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে রোগীদের করে দিচ্ছেন প্রেসক্রিপশন, দিচ্ছেন পরীক্ষা নীরিক্ষা করার ব্যবস্থাপত্রও। সাধারণের কাছে বিষয়টি প্রসংশা কুড়ালেও বিষয়টি চিন্তিত করছে কিছু সচেতন মানুষকে। তারা মনে করছেন, রোগীর প্রেসক্রিপশন করার এখতিয়ার শুধুমাত্র এমবিবিএস পাশ করা ডাক্তারদের, স্বাস্থকর্মী,মিডওয়াইফ বা নার্সদের নয়।

ঘটনাটি রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার মুন্ডুমালার ৷ মুন্ডুমালার বাধাইড় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের ঐ মিডওয়াইফ'র নাম মাসুমা খাতুন ৷ 

স্থানীয়রা বলছেন, স্বাস্থকর্মী মাসুমা, নরমাল ডেলিভারী করান ; রোগী দেখেন, প্রেসক্রিপশন করেন এমনকি বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার ব্যবস্থাপত্রও দেন৷ পরীক্ষা-নীরিক্ষা সরকারি হাসপাতালে না করলে প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করা হয়। প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা নীরিক্ষা করলে মাসুৃমা সেখানে কমিশন পান৷ অভিযোগ করে তারা বলছেন প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ইনজেকশন কিনে আনলে তিনি ইনজেকশন পুশ করে দেন না। 

এ বিষয়ে মিডওয়াইফ মাসুমা খাতুন বলেন, আমি আমার গাইডলাইন ফলোকরে, যতটুকু এখতিয়ার ততটুকুর মধ্যে রোগী দেখার চেষ্টা করি। শুধুমাত্র গর্ভবতী রোগীদের দেখি আমি, অন্য রোগীদের নয়। আমি টেস্টগুলো করতে সরকারি মেডিকেলে পাঠাই, তারা অন্য কোথাও গেলে আমার কিছু করার থাকে না। কোন প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাথে আমার কোন লেনদেনও নাই। 

এদিকে সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা আছে, 

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের আওতাধীন ডিপ্লোমা ইন নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি/ডিপ্লোমা-ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড অর্থোপেডিকস এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি পাশকৃত রেজিষ্টার্ড নার্স, সিনিয়র স্টাফ নার্স, স্টাফ

নার্স ও মিডওয়াইফারি পদধারী ২য় শ্রেণীর নার্স কর্মকর্তাগণ বিএনএমসির প্রচলিত বিধি/আইন মোতাবেক চিকিৎসাপত্র প্রদান (প্র্যাকটিস) করার কোন বিধান/সুযোগ নাই।

এ বিষয়ে তানোরের ইউএইচ এন্ড এফপিও (হেলথ এন্ড ফ্যামিলি প্ল্যানিং অফিসার) ডা: বার্নাবাস হাসদাক বলেন, বিষয়টি আমি জানি৷ এ বিষয়ে সতর্ক করে অফিসিয়াল চিঠি দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আবারও এরকম হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন