সাবেক মন্ত্রী কামরুলের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভার সাবেক মেয়র মেজবাহ উদ্দিন মেজু ও নেত্রকোনা জেলার মদনের সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল হান্নান তালুকদারের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ঢাকা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. কামরুল ইসলাম তার নিজ নামে, স্ত্রী ও সন্তানদের নামে দেশে বিদেশে অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছেন। তিনি আইন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে নিম্ন আদালতে অধিকাংশ কর্মচারীর নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন। তিনি দুর্নীতির মাধমে ব্রাজিল থেকে নিম্নমানের গম ক্রয় করে সরকারি কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। নিজ নামে ৪৮/১, আজগর লেনে ৪ তলা বাড়ি নির্মাণ, মিরপুর আবাসিক এলাকায় দুটি ফ্ল্যাট, নিজ নামে মিরপুর হাউজিং এস্টেটে ৪ কাঠা জমি, নিউ টাউনে ১০ কাঠা জমি এবং দুটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রজার গাড়ি রয়েছে ঢাকা মেট্রো-ঘ, ১৫-৭৭০৭ এবং ঢাকা মেট্রো-ঘ, ১২-১৪৩৫।
দুদক সূত্র আরও জানায়, কামরুল ইসলাম ও তার অন্যান্য আত্মীয় স্বজন নামে-বেনামে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রচুর জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ ছাড়াও বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন বলে তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
লক্ষীপুরের রামগতি পৌরসভায় মেজবাহ উদ্দিন মেজু মেয়র পদে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়ম ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রভাব খাটিয়ে স্বনামে ও তার পক্ষে অন্য ব্যক্তিদের নামে প্রচুর জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তার নগদ টাকা, অকৃষি জমি এবং স্ত্রীর নামে জমি, রামগতি পৌরসবার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প না করে ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে বিল উত্তোলন ও বিভিন্ন বাজার ঘাট, নিজস্ব লোকের কাছে ইজারা দিয়ে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করেছেন। তার নিজ নামে, স্ত্রী ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের নামে-বেনামে সম্পদ অর্জন করেছেন বলে গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছেন।
দুদক সূত্র আরও জানায়, নেত্রকোনা জেলার মদন পৌরসভার মেয়র আব্দুল হান্নান তালুকদার বিভিন্নভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে দলীয়/বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে অনিয়ম করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। মদনপুর পৌরসভার হাট/বাজার ও স্ট্যান্ডসমূহ যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করে ঘনিষ্টজনদের নামে ইজারা দিয়েছেন। তিনি ও তার ভাই মিলিতভাবে হাট/বাজার ও স্ট্যান্ডসমূহের ইজারার অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি মদনপুর পৌরসভার একাধিক জমি কয়েক কোটি টাকা দিয়ে কিনেছেন এবং একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। তার গ্রামের বাড়িতে কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করেন আলীশান বাড়ি। দুই কোটি টাকা দিয়ে নিজ বাড়িতে প্রায় ৫ একর জায়গা কিনেছেন বলে গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছেন।