ডার্ক মোড
Tuesday, 21 May 2024
ePaper   
Logo
সাত মার্চের আগেই বঙ্গবন্ধু পথ নির্দেশ দিয়েছিলেন : গণপূর্তমন্ত্রী

সাত মার্চের আগেই বঙ্গবন্ধু পথ নির্দেশ দিয়েছিলেন : গণপূর্তমন্ত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন ৭ মার্চের আগেই বঙ্গবন্ধু আমাদের পথ নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে পথ ছিল মুক্তির পথ, স্বাধীনতার পথ, শোষন বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের পথ, গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তির পথ।

শুক্রবার (১০ মে) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জেলা ছাত্রলীগের বিশেষ কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন ১৯৭০ সালের নির্বাচনী প্রচারের জন্য যখন আমাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তখন আমরা যারা ছাত্রলীগ করেছি আমাদেরকে বলা হয়েছে আমরা যেন ছয় দফার পক্ষে কথা বলি, আমরা যেন ১১ দফার পক্ষে কথা বলি।

সেই সাথে এ কথাও বলা হয়েছে যে ছয় দফা এবং ১১ দফা বাস্তবায়নের সম্ভবনা খুবই কম। ছয় দফা ও ১১ দফা বাস্তবায়ন না হলে কি করতে হবে আমাদের তাও বলতে বলা হয়েছে। আমরা সেটা বলেছিলাম। আমরা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলাম স্বাধীনতা ও মুক্তির পথে, একটি স্বতন্ত্র অস্তিত্বের পথে। সেটা আমরা করেছিলাম ৭ মার্চের আগেই, কারণ সাত মার্চের অনেক আগেই বঙ্গবন্ধু আমাদের পথনির্দেশ দিয়েছিলেন। আমাদের পথ ছিল অসাম্প্রদায়িকতার পথ, আমাদের পথ ছিল গণতন্ত্রের পথ, স্বাধীনতার পথ, আমাদের পথ ছিল শোষণমুক্তির পথ, আমাদের পথ ছিল সকল মানুষের জন্য তার অধিকার সুসংহত করার পথ, যে পথে আমরা এখনো চলছি, ছাত্রলীগ তার জন্মলগ্ন থেকে কোন প্রকার বিচ্যুতি ছাড়া এই পথে আছে এবং এই পথে আমরা দৃঢ়ভাবে ছিলাম বলেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর যখন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব ছিল না বললেই চলে, তখনও আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পতাকাকে উর্ধ্বে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিলাম।

এ সময় তিনি আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলের উন্মুক্ত অধিবেশন শুরু করে ২৮ সেপ্টেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপনের মাধ্যমে সম্মেলন শেষের ঘোষণা দেন।

সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগকে চাঁদাবাজ, মাদকাসক্ত ও ছিনতাইকারীমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে সকলের উদ্দেশ্যে তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এসময় মন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তার ভিশণ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, সমৃদ্ধ ও একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য যে লড়াই, তাতে ছাত্রলীগ সদা সতর্কভাবে সর্বদা তার পাশে থাকবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

ছাত্রলীগ আগামীতে আরো সুসংহত ও সংগঠিত হয়ে শেখ হাসিনার স্বপ্ন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন অর্থাৎ একটি শোষণহীন, বৈষম্যমুক্ত, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্তিত্ব করেন।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হাসান রুবেলের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ বিশেষ কর্মীসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বাড়ি চৌধুরী মন্টু, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সাকিব আল হাসান, উপ- প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, উপ- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক ফাল্গুনী দাস তন্বী উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন