ডার্ক মোড
Tuesday, 14 January 2025
ePaper   
Logo
শ্রম সংস্কার কমিশনের নিকট গার্মেন্টস শ্রমিক পরিষদের ১৪ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা পেশ

শ্রম সংস্কার কমিশনের নিকট গার্মেন্টস শ্রমিক পরিষদের ১৪ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা পেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ জানুয়ারি ২০২৫ (সোমবার) দুপুর ১২ টায় শ্রম ভবনে গার্মেন্টস শ্রমিক পরিষদের ১৪ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা লিখিত পত্রের মাধ্যমে শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মেদের নিকট পেশ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্টস শ্রমিক পরিষদের আহ্বায়ক রেডিমেড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশের সভাপতি লাভলী ইয়াসমিন, পরিষদের সদস্য সচিব মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রানি খান, পরিষদের সদস্য সম্মিলিত শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক মোঃ নাহিদুল হাসান নয়ন, পরিষদের সদস্য বাংলাদেশ ন্যাশনাল লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম আক্তার, পরিষদের সদস্য বাংলাদেশী গার্মেন্টস ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোরশেদ আলম, পরিষদের সদস্য আলোকিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যাম দুলাল, পরিষদের সদস্য বাংলাদেশ গার্মেন্টস টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ আল বাছির, পরিষদের সদস্য বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ রফিকুল মন্ডল প্রমুখ।

গার্মেন্টস শ্রমিক পরিষদের ১৪ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা হলো- (১) বাংলাদেশ শ্রম আইন‘২০০৬ কে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন হিসাবে সকল ক্ষেত্রে ০১ টি মাত্র শ্রম আইন হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা। (২) বাংলাদেশ শ্রম আইন‘২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা‘ ২০১৫ মোতাবেক সকল প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের শ্রমিক অধিকারের স্বীকৃতি ও ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করে বাংলাদেশ শ্রম আইন‘২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা‘ ২০১৫ সংশোধন করা। (৩) বাংলাদেশ শ্রম আইন‘২০০৬ এর শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী ধারা সমূহ বাতিল করে, শ্রম বান্ধব শ্রম আইন হিসাবে সংশোধন করা। (৪) ট্রেড ইউনিয়ন ও শিল্প সম্পর্ক বিশেষ করে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজিকরণ ও ট্রেড ইউনিয়ন এবং ফেডারেশন এর বিশেষ সাধারণ সভা ও নির্বাচন প্রক্রিয়া সহজিকরণ করা। (৫) ট্রেড ইউনিয়ন গুলোর দেশি—বিদেশি অর্থ গ্রহনের বিষয়ে বিস্তারিত পদ্ধতি শ্রম আইনে অন্তর্ভূক্ত করা। (৬) আইএলও কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করা। (৭) জাতীয় নিম্নতম মজুরী কমিশন গঠন ও জাতীয় নিম্নতম মজুরী ঘোষণা করা। (৮) শিল্প পুলিশ বিলুপ্তি ঘোষণা করা। (৯) বিজিএমইএর কর্মচারী দ্বারা সিন্ডিকেট বন্ধ করা। (১০) বিজিএমইএ এর দায়িত্বে থাকা ডাটা বেস ডাইফ কে ফিরিয়ে দিতে হবে। (১১) আনসার, পুলিশ ও যৌথবাহিনী দ্বারা গুলিতে আহত ও নিহত শ্রমিকদের আইএলও কনভেনশন হিসাবে ক্ষতিপূরণ ও তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি প্রদান করা। (১২) যে সকল মালিকদের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতায় শ্রমিক মজুরী থেকে বঞ্চিত ও আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছে তাদের কে আইনের আওতায় আনা। (১৩) কোন কারনে কারখানা বা প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হলে শ্রমিকদের শ্রম আইন মোতাবেক সকল পাওনাদী মালিক ও সরকার ব্যবস্থা করবেন। (১৪) সরকার প্রজ্ঞাপন দ্বারা একই ব্যক্তিকে একই সাথে এনজিও এবং ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠান প্রধান/ প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।

মতবিনিময়কালে শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মেদ ১৪ দফা সুপারিশের মধ্যে কয়েকটি সুপারিশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন