ডার্ক মোড
Monday, 12 May 2025
ePaper   
Logo
রাজাপুরে ষড়যন্ত্রের হাত থেকে বাঁচতে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

রাজাপুরে ষড়যন্ত্রের হাত থেকে বাঁচতে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

ঝালকাঠির রাজাপুরে প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে বাঁচতে মোঃ রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যাবসায়ী সংবাদ সম্মেলন করেছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার গালুয়া বাজার এলাকায় একটি চালের গোডাউনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে রফিকুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, পার্শ্ববর্তী এলাকার আলতাফ হাওলাদারের ছেলে মো: শুক্কুর হাওলাদারের এক সময় আমার সাথে শেয়ারে গাছের ব্যবসা করতো। তিনি গত ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল আমাদের ব্যবসার জন্য ক্রয় করা পাঁচ লক্ষ সাইত্রিশ হাজার চারশত ত্রিশ টাকার গাছ আমার অনুপস্থিতিতে বিক্রি করে নিজের প্রয়োজনে মেটায়। বিষয়টি জানতে পেরে আমি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে তারা হিসেব করে ওর পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে আমার পাওয়া চার লক্ষ চুয়ান্ন হাজার নয়শত ত্রিশ টাকা কিস্তিতে প্রতি মাসে দশ হাজার করে টাকা পরিশোধ করবে মর্মে শুক্কুর এর কাছ থেকে লিখিত রেখে ওর সাথে আমার ব্যবসায়ী কার্যক্রম বন্ধ করে দেই।

আমার সাথে গাছের ব্যবসার পাশাপাশি তার মাদক ব্যবসা চলমান ছিল যা আমি জানতাম না। সে ২০২১ সাল থেকে আজ অবদি আমার এই পাওনা পরিশোধ করেনি বরং আমার প্রতিপক্ষের সাথে মিলে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন বদনাম ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। ও বলে আমার কথায় ও কক্সবাজার থেকে মাদক বহন করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। অথচ আমি এর কিছুই জানিনা। ওর নামে ঝালকাঠিতে একটা মাদক মামলা রয়েছে যার সাক্ষী আমি। আমার একটি সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি আছে। সে আমার এই সমিতি থেকে ২০০৭ সালে ১০ হাজার ঋণ নিয়ে আজ অবদি ৮ লক্ষ পরিশোধ করছে আরো ৮ লক্ষের বেশি আমি দাবি করছি বলে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করে।

কিন্তু আমি ২০০৬ সালে এসএসসি পাস করি। এবং এই সমিতি প্রতিষ্ঠা করি ২০১৩ সালে। আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে ক্ষান্ত না হয়ে গত ১১ নভেম্বর সংবাদকর্মী পরিচয়ে শাওন মোল্লা সহ দু’জন প্রতারককে এলাকায় ডেকে এনে আমার পিছনে লেলিয়ে দেয়। আমি বুজতে পেরে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করে পুলিশে দিয়ে প্রতারণা মামলা করি। আমার প্রতিপক্ষরা যে কোনো সময় আমার সাথে বোঝার জন্য শুক্কুর তাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। যেকোনো সময় শুক্কুরকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিয়ে আমাকে এবং আমার পরিবারকে ফাঁসানোর চেষ্টা করতে পারে। প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে বাঁচতে আপনাদের লেখনির মাধ্যমে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্টি কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শুক্কুর হাওলাদার জানায়, ২০০৭ সালে আমার শিশু কন্যা অসুস্থ থাকার কারনে সেই সময়ে রফিকুলের কাছ থেকে আমি দশ হাজার টাকা সুদে নেই। সেই থেকেই আমি রফিকুলের সাথে টাকা লেনদেনে জড়িয়ে পরি। এরপরে রফিকুল সমিতি করলে সেখান পুর্বের সুদের টাকা লোন দেখিয়ে তার সমিতির রেজিস্টার খাতায় স্বাক্ষর নেয়। তার মনগড়া সুদের হাত থেকে বাচতে আমি গত ৮ নভেম্বর রাজাপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করি।

এর পরে ১১ নভেম্বর দুপুর ১ টা বেজে ৫ মিনিটে ০১৭১৯৭৪৪৮১৫ নম্বর থেকে ফোন করে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমার অবস্থান জানতে চেয়ে আমার সাথে তাদের কথা আছে বলে জানায়। এর ৫ মিনিট পরে আবারো একই নম্বর থেকে ফোন করে বলে আমরা আপনার বাড়ীতে আসছি। আপনি দ্রুত বাড়ী আসেন। আমি বাড়ীতে যাওয়ার পরে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ব্যক্তিরা আমার বক্তব্য নিয়ে আমার মায়ের কাছে খরচ চেয়ে চলে যায়। তখন আমি আমার কাজে আমতলা গাছ কাটতে চলে যাই। আমি সাংবাদিক পরিচয়দানকারী দুই ব্যক্তিকে আগে কখনো দেখেনি এবং চিনিও না।তারপরেও রফিকুল ইসলাম আমাকে তাদের সাথে জড়িয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন