
যাত্রীদের উচ্ছাস, ৮ জোড়া ট্রেন চালু ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে কমিউটার ট্রেনের যাত্রা শুরু
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, নারায়ণগঞ্জ :
মানবিক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার উদ্যোগে ঈদের যানজটের জ্বালা থেকে স্বস্তি পেলো নারায়ণগঞ্জবাসী। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে রেলপথে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ সামলাতে এবং সেবার মান বাড়াতে মেট্রোরেলের আদলে অত্যাধুনিক কমিউটার ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ৮ জোড়া ট্রেন চালু হয়েছে। সকাল সাড়ে ৬টা থেকেই স্টেশনে ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
চাষাড়া রেলস্টেশনে কথা হয় পাগলার যাত্রী নওরিনের সাথে। তিনি বললেন, আমরা খুবই স্বস্তি প্রকাশ করছি। ডিসি সাহেব ট্রেন যাত্রীদের দুর্বোগ কমাতে এই উদ্যোগটি কায্যকর করেছেন। আমরা আরামে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে যাতায়াত করতে পারবো। ভাড়াও সহনশীল মাত্র ২০ টাকা।
শ্যামপুরের যাত্রী বেলাল আহমেদ, গেন্ডারিয়ার যাত্রী সোবহান মিয়া ও হেলালুর রহমানের মতে, আমরা নতুন ট্রেন পাইছি। ট্রেনটা খুবই সুন্দর। অনেক লোক বসতে পারবো। অনেকে দাঁড়াইয়া যাইতে পারবো। প্রথম দিনে আমি ঠেলাঠেলি কইরাও সিট পাইছি। আসলে সরকারে অনেক ভালা কাম করতাছে।
জানাগেছে, বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে চাষাড়া রেলস্টেশনে এ ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মাইনুদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ। বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে নিয়মিত চলাচল শুরু করেছে এই কমিউটার ট্রেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা রুটে ৮ জোড়া নতুন ট্রেন চালু করা হলো। এই উদ্যোগ নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য দ্রুত, নিরাপদ ও আরামদায়ক যাতায়াত নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার মধ্যে যাত্রীদের যাতায়াত আরও সহজ করবে। মেট্রোরেলের আদলে তৈরি এসব ট্রেন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন হবে এবং উন্নত সেবার মানদণ্ড বজায় রেখে পরিচালিত হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগের ডিটিও ফুয়াদ হোসেন আনন্দ বলেন, এই ট্রেন আগে আটটি কোচে চলত। এখন এখানে ১১ টি কোচ থাকবে। আগে এর সিটিং ক্যাপাসিটি ছিল ৩৮০ জন এখন এটি ৫৯০। এটি মেট্রোরেলের আদলে তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে প্রায় সমান সংখ্যক যাত্রী দাঁড়িয়েও যেতে পারবেন। যেন বেশি সংখ্যক মানুষ আমরা বহন করতে পারি সে চিন্তা থেকে এটা করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের সাধারণ ট্রেনের শিডিউল অনুযায়ী এটি চলবে বলেও জানান তিনি।