ডার্ক মোড
Tuesday, 17 September 2024
ePaper   
Logo
মাদারীপুরে শিক্ষা অফিসার মাসুদ করিম দুর্নীতিতে যুক্ত ভোলায় বদলি

মাদারীপুরে শিক্ষা অফিসার মাসুদ করিম দুর্নীতিতে যুক্ত ভোলায় বদলি

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরে দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ করিমকে অনত্র বদলি করা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোসাম্মদ রোখসানা হায়দারের স্বাক্ষরিত এক আদেশে মোঃ মাসুদ করিমকে ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে পদায়ন করা হয়।

এদিকে মাসুদ করিমের বদলি হওয়ায় খুশি ও আনন্দ উৎসব করেছেন জেলা সদরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
আগে মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মাসুদ করিমের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১ প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে প্রধান কার্যালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এ ছাড়াও তার বদলির জন্য সরাসরি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান।

সাধারণ শিক্ষকরা মোঃ মাসুদ করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলে,শিক্ষা অফিসার অফিসে কাজের বিনিময়ে অন্যান্য শিক্ষকের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, অফিস ফাঁকি দিয়ে নেশায় আসক্ত হন, ঘুষের টাকায় অফিসে এসি লাগানো,অবৈধভাবে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে যাতায়াতসহ একাধিক অভিযোগ তোলা হয় ঐ অভিযোগে। যা সরকারি নিয়ম পরিপন্থি কাজের সামিল। বিষয়টি আমলে নিয়ে গত ২৯ ফেব্রুয়ারীতে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। এর পরে ৬ মার্চ অভিযোগ দাখিলকারী ১১ জন শিক্ষকের সাক্ষ্য নেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ আবদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘ মাদারীপুর সদর উপজেলার শিক্ষা অফিসার মোঃ মাসুদ করিম কর্তৃক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বহু শিক্ষক লাঞ্ছিত ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি একজন অসৎ ও দুর্নীতিবাজ অফিসার। তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার দুর্নীতির তদন্ত হয়েছে। অসৎ উপায় অবলম্বন করে তিনি সব কিছু ম্যানেজ করে চাকরি করে গেছেন। তার বদলির খবরে সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে আনন্দ উৎসব ও মিষ্টি বিতরণও করা হয় মাদারীপুরে।

অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে অভিযুক্ত সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মাসুদ করিম বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা একটি অভিযোগও সত্য নয়। শিক্ষকরা আমার অফিসে সিন্ডিকেট ও তদবির বানিজ্য করতে না পারায় এ ধরণের ভিত্তিহীন অভিযোগ দিচ্ছে। আর বদলির বিষয়টি চাকরির নিয়মিত প্রক্রিয়া।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন