
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ভাতিজা কর্তৃক পটুয়াখালীতে স্কুল মাঠে ধানের বীজতলা
সঞ্জয় ব্যানাজী, পটুয়াখালী
দিনভর যে বিদ্যালয়ের মাঠে খেলায় মেতে থাকত কোমলমতী শিশুরা। সেই স্কুল মাঠে বেড়া দিয়ে আমন ধানের বীজ রোপন করলেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ভাতিজা। স্কুল মাঠে ধানের বীজ রোপন করায় কোমলমতি শিশুদের খেলাধুলার সব সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের ৫৫ নম্বর খারিজা বেতাগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বুধবার খারিজা বেতাগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দেখা গেছে, মাঠে বীজতলায় ধান রোপন করে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নূর হোসেন মৃধার ভাতিজা ফিরোজ মৃধা স্কুল মাঠে বেড়া দিয়ে ধানের বীজ রোপন করেছেন। স্কুল মাঠে বেড়া দিয়ে ধানের বীজতলা তৈরি করায় শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে। খেলাধুলা বন্ধ হওয়ায় দুশ্চিতায় রয়েছে শিশুরা। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই স্কুলের অভিভাবকরা।
ওই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেনির একাধিক শিক্ষাথীরা জানান, আমাদের খেলাধুলার মাঠে ধানের বীজ রোপন করায় আমরা খেলাধুলা করতে পারিনা। আমরা বিদ্যালয়ের মাঠ পুর্বের ন্যায় দেখতে চাই।
একাধিক অভিভাবক জানান, বাচ্চাদের একমাত্র খেলাধুলার মাঠে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি’র ভাতিজা ফিরোজ মৃধা বীজতলা করে এলাকা জুড়ে সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে স্কুলের অনেক কিছু নিজের দখলে নিয়েছিল ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। বিদ্যালয়ের মাঠ দক্ষল মুক্ত ও আওয়ামী লীগ শিক্ষক অপসারনের দাবীও করেন তারা।
এবিষয়ে ৫৫ নম্বর খারিজা বেতাগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নূর হোসেন মৃধা বলেন, আমার অনু-উপস্থিতিতে ফিরোজ মৃধা আমন ধানের বীজতলা করেছে। কেনো বীজতলা করেছে স্কুল মাঠে আমি জিজ্ঞেস করলে আমাবে জানান আমার জায়গা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে বিদ্যালয়ের মাঠে বীজতলা তৈরি করেছি। তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকার যে অভিযোগটি উঠেছে সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভীত্তিহীন। আমাকে নেতাকর্মীরা জোর করে পদে রেখেছে আমি কোন মিছিল মিটিং বা সভা সমাবেশে যাইনি আমি চাকরি করি রাজনীতি করবো কিসের জন্য।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা(এটিও) মোসাঃ মরিয়ম বেগম জানান, আমি ঘটনা শুনে প্রধান শিক্ষককে অবহিত করেছি। বিষয়টি সে শিকার করেছে এরপরও আমি আগামী রবিবার বিদ্যালয়ে গিয়ে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও সে যদি সরকারি চাকরি করে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকে তাহলে তার চাকরি করার অধিকার নেই।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইরতিজা হাসান জানান, স্কুলের খেলার মাঠে ধানের বীজ রোপন করার কোনো অধিকার নেই। আমি বিষয়টি খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নিব।