বড়লেখায় মামলা করায় মাথা ফাটিয়ে স্বামীসহ বাদিকে হাসপাতালে পাঠাল আসামিরা
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
বড়লেখায় পূর্ব-বিরোধের জেরে অতর্কিত হামলার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়েরের পাঁচ দিনের মাথায় আসামিরা সঙ্গবদ্ধভাবে বাদি রোজিনা বেগমের মাথা ফাটিয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এসময় তার স্বামীকেও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়। ভাংচুর করা হয় মোটরসাইকেল। এঘটনায় আহত গৃহবধু রোজিনা বেগম গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিপক্ষের ৮ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছেন। ওই মামলা দায়েরের পর আসামিরা আরো ক্ষীপ্ত হয়ে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এতে বাদি রোজিনা বেগম, তার স্বামী নজরুল ইসলাম ও সন্তানরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
জানা গেছে, উপজেলার গজভাগ গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য প্রার্থী নজরুল ইসলাম ডেলের স্ত্রী হামলা ও মারধরের ঘটনায় ৪ ডিসেম্বর বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গজভাগ গ্রামের রাশেদ আহমদ, জায়েদ আহমদ সুহেল আহমদ, রাজনা বেগম গংদের বিরুদ্ধে মামলা করেন (সি.আর-৬৬১/২০২৪)। আদালত মামলাটি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। এই খবরে পুলিশ তদন্তে যাওয়ার আগেই আসামিরা সঙ্গবদ্ধভাবে গত ৯ ডিসেম্বর বাদি রোজিনা বেগমের বাড়িতে ঢুকে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গৃহবধু রোজিনা বেগমের মাথায় মারাত্মক জখম হয়। আহত রোজিনা বেগমের স্বামী নজরুল ইসলাম ডেলকেও আসামিরা বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। দ্বিতীয় ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত রোজিনা বেগম সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে এসে গত ১৫ ডিসেম্বর বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক মামলা করেন। আদালত মামলাটি এফআইআর করতে থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। ওই মামলায় স্বাক্ষী হওয়ায় প্রতিবেশি শিউলি আক্তারকে আসামিরা মারধর করেছে।
আহত নজরুল ইসলাম ডেল জানান, আমার স্ত্রী ও আমার উপর হামলার ঘটনায় আমি ন্যায় বিচার পেতে আদালতে যাই। আদালতের নির্দেশে পুলিশ ঘটনা তদন্তে যাওয়ার আগেই আসামিরা সঙ্গবদ্ধভাবে আমার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কুপ দেয়। বাড়ি ফেরার পথে আমার উপরও হামলা চালায়। তিনদিন চিকিৎসা করিয়ে আমার স্ত্রী কিছুটা সুস্থ হলে আদালতে মামলা করি। এখন তারা নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় শিউলি বেগমকেও তারা মেরেছে। আসামিরা খুবই প্রভাবশালী। তাদের হুমকি-ধমকিতে তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।