ডার্ক মোড
Saturday, 05 October 2024
ePaper   
Logo
বাউফলে প্রতিমায় চলছে রং-তুঁলির শেষ আঁচড়

বাউফলে প্রতিমায় চলছে রং-তুঁলির শেষ আঁচড়

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

দুয়ারে কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা। আগামি ৮ অক্টোবর থেকে ঢাকে কাঠি বাজিয়ে শুরু হচ্ছে দুর্গোৎসব। সারা দেশের মতো পটুয়াখালীর বাউফলেও চলছে দুর্গোৎসব পালনের প্রস্তুতি। এবছর বাউফলে ৬৫টি মন্ডপে দুর্গা পূজা হবে। পটুয়াখালী জেলায় সর্বাধিক পূজা হচ্ছে বাউফলে।

শেষ মূহুর্তে বাউফল উপজেরার বিভিন্ন মন্ডপে চলছে শিল্পীর রং-তুঁলির শেষ আঁচড়। শুরু হয়েছে আলোক সজ্জার কাজ। নির্বিঘেœ এবং উৎসাহ উদ্দীপণায় যাতে দুর্গোৎসব উদযাপিত হতে পারে সেজন্য ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন,জেলা পুলিশ, সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন,থানা পুলিশ প্রতিটি পূজা কমিটির সাথে মতবিনিময় করে পূজায় সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করা হবে বলে আশস্ত করেছেন। পূজার নিরাপত্তায় আনসার-ভিডিপি,পুলিশ,র‌্যাব,সেনাবাহিনী,নৌবাহিনী এবং কোষ্টগার্ড থাকবেন বলে একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে।

বাউফল উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সনজিত কুমার সাহা জানান,আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিটি পূজা মন্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। পালা করে তারা পূজা মন্ডপ পাহারা দেবেন। সরকারের কাছে আমাদের দাবি ছিল ৫ দিনের পূজায় অন্তত: ২ দিন ছুটি দেবেন। কিন্তু সেটা পাওয়া গেল না। পূজার সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবাহের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক অতুল চন্দ্র পাল জানান,বাউফল একটি শিক্ষিত-নন্দিত অসাম্প্রদায়িক চেতণার জনপদ। পূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতার কথা বলেছেন। এবছর ৫৬ টি মন্ডপে প্রতিমা দিয়ে পূজা হবে এবং ৯টি মন্ডপে ঘটপূজা করা হবে।সরকারের দেওয়া নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াও প্রতিটি মন্ডপের পূজা কমিটি সার্বিক বিষয়ে নজরদারি করবেন। তিনি বলেন, আমাদের ধারণা ছিল পরিবর্তনের আবহে প্রতিটি পূজায় ১ টন করে চাল বরাদ্দ করবেন। কিন্তু সরকারি বরাদ্দ ৫০০ কেজি চালই দেওয়া হয়েছে। তবে আগামিতে সরকারি বরাদ্দ উন্নীত হবে বলে আশা করছি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো.কামাল হোসেন জানান, পূজা শুরুর পূর্বেই সকল পূজা মন্ডপ পুলিশ টহলের আওতায় আনা হয়েছে। সাদা পোষাকেও নজরদারি করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.বশির গাজী জানান,পূজার উৎসবে যে কোন ধরণের প্রতিবন্ধকতা শক্ত হাতে আইন-শৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করবেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মোবাইল টীম থাকবে। পূজার সময় সেনাবাহিনীর টহল দল মাঠে থাকবেন।। বাউফলের প্রতিটি পূজা মন্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। পূজাকে কেন্দ্র করে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। আশা করছি আনন্দঘন পরিবেশেই দুর্গোৎসব উদযাপন হবে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন