ডার্ক মোড
Friday, 18 October 2024
ePaper   
Logo
বাউফলের আনসার ভিডিপি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

বাউফলের আনসার ভিডিপি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ সাগরের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী ২৫ বছর হয়ে গেলে কোন সদস্য চাকুরীতে থাকতে পারবে না। কিন্ত বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড লিডার আউয়াল,সূর্যমনী ইউনিয়নের ভিডিপি দলপতি আসাদুল,কালিশুরী ভিডিপি ইউনিয়নের দলপতি মোঃ ইউনুস,দাশপাড়া ইউনিয়নের ভিডিপি দলনেএী সেলিনা বেগম এদের চাকুরী বিধি মোতাবেক ২৫ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও অফিস ম্যানেজ করে চাকুরিতে বহাল থেকে তাদের সম্মানী ভাতা গ্রহন করে। এতে দেশের একদিকে অর্থ লছ হইতেছে এবং বেকার যুবকরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গত ইউনিয়ন নির্বাচনে টাকার বিনিময় গ্ন্রপ বিক্রি করে ১৪৮৫ জনের কাছ থেকে প্রতিজনের কাছ থেকে ৫০০ টাকা দালালদের মাধ্যমে ৭ লাখ ৪২হাজার ৫০০শত টাকা হাতিয়ে নেয়।

এছাড়াও একই ব্যক্তি দুই জায়গায় চাকুরী করে দুই জায়গা থেকেই টাকার বিনিময় বেতন-ভাতা উত্তোলন করে থাকে। তাদের মধ্যে মোঃ সায়েম ধুলিয়া ইউনিয়ন সহকারী আনসার কমান্ডারে চাকুরী করে বরিশাল সাধারন আনসারেও চাকুরী করে,মোঃ রাকিব বাউফল পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড লিডারে চাকুরী করে একই সাথে বরিশাল বিমান বন্দরে সাধারন আনসারেও চাকুরী করে। মোঃ রেজাউল বাউফল উপজেলায় সহকারী কমান্ডারে চাকুরী করে আবার বাকেরগঞ্জে জনতা ব্যাংকে সাধারন আনসারে চাকুরী করে। এনামুল হক দলপতি হিসেবে বাউফল সদর ইউনিয়নে চাকুরী করে একই ব্যক্তি বরিশাল সেনা ব্যাংকেও চাকুরী করে। মোঃ সাদ্দাম হোসেন পৌনসভার ৪নং ওয়ার্ড দলনেতা এবং চট্রগ্রাম একটি কোম্পানিতে চাকুরী করে। মাস শেষে কর্মকর্তা সাগর এদের বিকাশ / নগদে মোবাইলে টাকা পাঠিয়ে থাকে। এতে দেশের বেকার সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৩ সালে মাসুম বিল্লাহ পূজা মন্ডপের বরাদ্ধাকৃত টাকা থেকে একলক্ষের বেশী টাকা আতœসাৎ করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই বর্মকতার বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে জাফর ও শাহিন নামে দুই কর্মচারী বিভিন্ন অনিয়ম দুর্ণীতির অভিযোগ এনে মহা পরিচালক বাংলাদেশ আনসার গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী,সদর দপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেন।

এবিষয় উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ সাগর বলেন,যাদের চাকুরীর বয়স ২৫ বছর হয়েছে তাদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে কাগজপত্র দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা দুই জায়গায় চাকুরী করে সে ব্যাপারে তার জানা নেই। তার ব্যাপারে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়। তিনি কেহর কাছ থেকে কোন অতিরিক্ত টাকা নেন না। কিছু লোক তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

 

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন