ডার্ক মোড
Monday, 20 May 2024
ePaper   
Logo
বগুড়ায় পুলিশের উপর হামলা নুরু বাহিনীর প্রধানসহ আটক ৮

বগুড়ায় পুলিশের উপর হামলা নুরু বাহিনীর প্রধানসহ আটক ৮

বগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলায় সরকারি দলের রাজনৈতিক পরিচয়ে থাকা এক সন্ত্রাসীকে আটক করায় সহযোগীদের নিয়ে থানায় ঢুকে পুলিশের ওপরে হামলা চালিয়েছেন নুরু বাহিনীর প্রধান নুরুজ্জামান। এতে কমপক্ষে ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত পুলিশের মধ্যে এসআই আনিছুর রহমান উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত শনিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে শাজাহানপুর থানায় এ ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই অভিযান চালিয়ে ৮জনকে আটক করেছে পুশিশ। এ সময় ২টি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান (৩৮), আড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন খান (৩২), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান নাজমুল (৩০), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সাইদুজ্জামান খোকন (৩২), স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী রবিন (২৫) ও বোরহান উদ্দিন (৩৫)। গ্রেপ্তার হওয়া আরো ২সন্ত্রাসীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এই ঘটনায় আজ রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয় নাই।

জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের আড়িয়াবাজার বাসস্ট্যাণ্ড এলাকা থেকে চিহ্নিত সন্ত্রাসী মিঠুন খানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ২টি বিদেশি চাকুসহ তাকে আটকের সময় অভিযানে অংশ নেয়া পুলিশের ওপরে হামলা করে মিঠুন। এতে এসআই আনিছুর রহমান আহত হন।

গ্রেপ্তার করে মিঠুনকে শাজাহানপুর থানায় নিয়ে আসার পর রাত ১০টার দিকে প্রায় ৫০জন সহযোগী নিয়ে থানায় আসেন নুরুজ্জামান। এ সময় পুলিশের ওপরে সরাসরি হামলা করেন সঙ্গে থাকা সহযোগীরা। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হন। পরে পুলিশ প্রতিরোধ করলে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। থানা থেকে পালিয়ে এসে নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে মাঝিড়া ইউনিয়নের মাঝিড়াপাড়া এলাকায় আবারও অবস্থান নেয় তারা। এ সময় পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে সেখান থেকে নুরুজ্জামান, নাইম, খোকন, নাজমুল, বোরহানসহ অন্যদের আটক করেন। আটকের পর ওই রাতেই জিজ্ঞাসাবাদে নুরুজ্জামান এবং নাজমুলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তাদের বাড়ি থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এসআই আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মিঠুনের কাছে ২টি বিদেশি চাকু পেয়েছিলাম। তাকে আটক করার সময় সে আমাদের ওপরে হামলা চালায়। এতে আমিসহ কয়েকজন আহত হই।

শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, মিঠুনকে থানায় নিয়ে আসার পর নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রায় ৫০জনের একটি দল থানায় ঢুকে তাণ্ডব চালায়। এতে আমাদের বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ প্রতিরোধ করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গিয়ে মাঝিড়াপাড়া এলাকায় আবারও অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখান থেকে নুরুজ্জামানসহ কয়েক জনকে আটক করে।

তিনি আরও বলেন, আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ওই রাতেই নুরুজ্জামানের বাড়ি থেকে একটি বিদেশি পিস্তল এবং নাজমুলের বাগান বাড়ি থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ মোট ২টি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় রাতেই থানায় মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৮জনকে আটক করা হয়।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন