পুরান ঢাকায় মন্দিরের নামে বাড়ি দখলের অভিযোগ গীতা রানীর
জবি প্রতিনিধি
পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে সংখ্যালঘু এক পরিবারের বাড়ি দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী গীতা রানী এই অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক চন্দ্র রায়, শিল্পী রায় ও গোবিন্দ এর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী গীতা রানী জানান, হৃষিকেষ দাস রোডের ৯৫ নম্বরের শত বছরের পুরনো বাড়িটিতে থাকতেন গীতা রানীও তার দুই ভাই। তার পিতা প্রয়াত ব্রজ বল্লভ দাস। কিন্তু দুই ভাই নিতাই চান্দ্র দাস ও গোবিন্দ চন্দ্র দাস অবিবাহিত অবস্থায় মারা গেলে একমাত্র বোন হিসেবে গীতা রানী দাস হিন্দু আইনের বিধানমতে ওয়ারিশমূলে মালিক হন। গীতা রানী চিরকুমারী হওয়ায় তাঁর পরিবারে আর কোন ওয়ারিশদার নেই। ফলে জোরপূর্বক পৈতৃক ভিটা থেকে তাকে উচ্ছেদ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসী। এখন তিনি এক মুসলিম পরিবারের আশ্রয় নিয়েছেন।
গীতা রানী জানায় বাড়ি ফিরে পেতে চাইলে কার্তিক চন্দ্র রায়সহ দখলদারীরা বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি হুমকি দিচ্ছে। এতে প্রাণনাশের আশংকা করছেন গীতা রানী। বাড়ি ফিরে পেতে প্রশাসনের সাহায্য দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গীতা রানী দাস বলেন, আমার স্বত্ব দখলীয় ঢাকা জেলার সূত্রাপুর থানাধীন ৯৫নং ঋষিকেশ দাস রোডস্থিত বাড়ীর নীচ তলার ভাড়াটিয়া কার্তিক চন্দ্র রায়ের, পিতা- মৃত অনন্ত চন্দ্র রায়, পরিবারসহ দীর্ঘদিন যাবৎ আমার অধীনে উচ্ছেদযোগ্য ভাড়াটিয়া হিসাবে উক্ত কার্তিক চন্দ্র রায় বাসা বাড়ী ও দোকানের ভাড়াটিয়া হিসাবে ১৪২০ বাংলা সন হইতে ১৪২৯ বাংলা সন পর্যন্ত ভাড়াটিয়া হিসাবে আছে বটে। কিন্তু তাহাদের অসৎ উদ্দেশ্যে ও পারস্পর যোগসাজসীভাবে উক্ত কার্তিক চন্দ্র রায় তার স্ত্রী শিল্পী রানী ও তার দুই মেয়ে সহ তার পরিবার উক্ত দোকানটি জায়গাসহ আত্মসাৎ করার জন্য শ্রী শ্রী যুত মদন গোপাল জিউ বিগ্রহ ঠাকুর মন্দির এর কমিটির সভাপতি সেক্রেটারীর যোগসাজসে দখল করেছে। রেঃ জিঃ নং ৯৫-৯৬, হৃষিকেশ দাস রোড, ঢাকা-১১৭০ এর নামে একটি ভূয়া সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। বর্তমানে উক্ত দোকানটিতে মূর্তি স্থাপন করেছে। ভূমি দস্যুরা বলে এটা দেবত্তর সম্পত্তি। মূলত এই সম্পত্তি দেবত্তর সম্পত্তি নয় এটা আমার ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি। ভূমি দস্যুরা দোকানটির টাকা পরিশোধ না করে বেআইনী ভাবে অবস্থান নিয়ে থাকায় আমি উল্লেখিত বকেয়া মাসিক ভাড়ার টাকাসহ হালনাগাদ ভাড়া পরিশোধ করার জন্য তাদেরকে বিভিন্নভাবে অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা আমার বকেয়া পাওনা উক্ত ভাড়ার টাকা পরিশোধ না করে বরং আমাকে আর ভাড়ার টাকা প্রদান করিবে না ও ভাড়াকৃত দোকান বাড়ীর ৯টি রুম বিল্ডিং দোতলা দখল ছাড়বেনা এবং ভাড়ার টাকা চাইলে আমাকে খুন, জখম করে লাশ গুম করার হুমকি দিচ্ছে। আমি একজন চিরকুমারী বয়োবৃদ্ধ মানুষ।
বিচার দাবি করে গীতা রানী বলেন, ড. ইউনূসের সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে সন্ত্রাসী কার্তিক গংদের হাত থেকে জমি উদ্ধার করে সম্প্রীতি বজায় রাখার দাবি জানাই।