ডার্ক মোড
Wednesday, 12 March 2025
ePaper   
Logo
পিরোজপুরে সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও মেয়রের বাড়িসহ অফিস কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ

পিরোজপুরে সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও মেয়রের বাড়িসহ অফিস কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ

পিরোজপুর প্রতিনিধি

সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শ ম রেজাউল করিম, সাবেক এমপি একে এম এ আউয়াল, সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক, যুবলীগ সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু ও সাবেক চেয়ারম্যান এস এম বাইজিদসহ নেতাদের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুরু করে রাত ১টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণকে কেন্দ্র করে পিরোজপুরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলাসহ জেলা সদরে একত্র হন। এরপর তাঁরা মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা সদরে ও নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি, নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী শাহিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান এস এম বাইজিদ হোসেন, নাজিরপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চলকান্তি বিশ্বাসের বাড়ি, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তানভির হাসান ডালিমসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেন ও ভাঙচুর করেন।

এর আগে বুধবার রাত ১২টার দিকে একদল ছাত্র-জনতা পিরোজপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে শহরের পাড়ের হাট সড়কে থাকা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি একে এম এ আউয়াল, সাবেক পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক, জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিকের শংকরপাশা ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। পরে রাত ১টার দিকে পৌর শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাবিবুর রহমান মালেকের মালিকানাধীন একটি ফিলিং স্টেশন ও বলেশ্বর ব্রীজ টোলঘর ভাংচুর করা হয়।

এছাড়াও ভান্ডারিয়া উপজেলার ইকরি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেনর, মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বাইজিদ আহম্মেদ খান এর বাড়িসহ অন্যান্য জেলা ও উপজেলার নেতাদের বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ঢাকার বুলডোজার মিছিলের ধারাবাহিকতায় পিরোজপুরে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের এসব বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। গণুঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ ও ৬ আগস্ট এসব বাড়িতে একাধিকবার আগুন ধরিয়ে দেওয়া ও লুটপাট করা হয় বলে জানান স্থানীয় লোকজন। তখন থেকে ওই বাড়িতে কেউ থাকেন না; অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। গত ৫ আগস্টের পর থেকে এডভোকেট শ ম রেজাউল করিমসহ আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ আত্মগোপনে রয়েছেন। তাদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনার সময় সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন