পল্লীকণ্ঠের সম্পাদকের ইন্তেকাল
জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুর থেকে প্রকাশিত পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিনের সম্পাদক-ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রবিন সাংবাদিক নূরুল হক জঙ্গী দাদা ভাই ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নানিল্রাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন।
২১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৯টার দিকে তাঁর ইন্তেকালের খবরটি নিশ্চিত করেছেন জঙ্গী দাদার বড় ভাইয়ের স্ত্রী রাবেয়া বেগম। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি অসুস্থ্যতার দরুণ ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ২ স্ত্রী ৪ মেয়ে নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
৮০ শদকে দেশ স্বাধীনের পরে তাঁর পিতা আব্দুল হামিদ কবিরত্নের সম্পাদিত মেলান্দহের প্রথম সংবাদপত্র সাপ্তাহিক পল্লীকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক এবং মেলান্দহ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ৭৫’র দুর্ভিক্ষের পর তিনি সাংবাদিকতা পেশায় যোগদান করেন। তিনি কিছুদিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতাও করেছেন। তার পিতা আব্দুল হামিদ কবিরত্নের মৃত্যুর পর পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়।
৯০ দশকের শেষ দিকে তৎকালিন জামালপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও জঙ্গী দাদার সাংবাদিক শিষ্য প্রয়াত শফিক জামান লেবুর হাত ধরে সাপ্তাহিক ঝিনাইয়ের প্রধান সম্পাদক হিসেবে আবারো এই পেশায় নিযুক্ত হন। কিছুদিন পর তাঁর বাবার প্রতিষ্ঠিত সংবাদপত্র সাপ্তাহিক পল্লীকন্ঠ প্রকাশের উদ্যোগ নেন। ২০০৪ সালের শেষ দিকে তিনি পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিন নামে দৈনিক একটি পত্রিকা বের করেন। যা এখনো চলমান।
ময়মনসিংহ অঞ্চলের এটি একটি বহুল প্রচারিত পত্রিকা হিসেবে পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে। রাজনৈতিক জীবনে তিনি ফ্রিডম পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক থাকাবস্থায় জামালপুর-৩ আসন থেকে কুড়াল মার্কা নির্বাচন করেছেন। দেশের পট পরিবর্ন্তনের পর তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। তিনি মেলান্দহ বিএনপি’র সহসভাপতি এবং জেলা বিএনপি’র সদস্য ছিলেন। সাংবাদিকতার জীবনে তিনি বহু মামলা-হামলার শিকার হন। তিনি দেশের আঞ্চলিক ও সাপ্তাহিক সংবাদপত্র পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং সহসভাপতি ছিলেন।#