নারায়ণগঞ্জ শহরের কিল্লারপুল বিদ্যুৎ অফিসে দুর্ধর্ষ ডাকাতি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ শহরের কিল্লারপুল বিদ্যুৎ অফিসে(পূর্ব-পশ্চিম) দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ভোর রাত ৩টার দিকে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ১৬ থেকে ১৭ জনের ডাকাত দল ট্রাক নিয়ে এসে নিরাপত্তারক্ষীসহ লাইনম্যানদের বেঁধে রেখে ট্রান্সমিটার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় সকলের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনও নিয়ে যায় ডাকাতরা।
এ ঘটনায় সকালে বিদ্যুৎ অফিস পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদারসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।
কিল্লারপুল বিদ্যুৎ অফিসের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা রাসেল নামে একজন জানান, রাতে নিরাপত্তাকর্মী ও লাইনম্যান মিলিয়ে ১৪ জন দায়িত্বে ছিলেন। দেয়াল টপকে প্রথম ৮ জন ও পরে মোট ১৬ থেকে ১৭ জনের ডাকাত দল প্রবেশ করে সবাইকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত পা বেঁধে ফেলে। পরে তাদের কাছে থাকা নগদ ৫২ হাজার টাকা ও সকলের মোবাইল নিয়ে যায় ডাকাতরা। এর মধ্যে যাবার সময় একটি মোবাইল ফেলে যায়।
তিনি আরও জানান, পরে ট্রাকে করে একটি ট্রান্সমিটার ও তামার লুপ নিয়ে যায় ডাকাতরা।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাসির আহমদ জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিভিন্ন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। একটি পুরাতন ট্রান্সমিটার নিয়ে গেছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা তদন্ত করবো।
নারায়ণগঞ্জে ডিসি-এসপিকে সাদপন্থিদের স্মারকলিপি
তাবলীগ জামাতের একাংশের আমির মাওলানা সাদকে বিশ্ব ইজতেমায় আসতে দেওয়া ও সাদপন্থিদের নির্বিঘ্নে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়ার দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর ও জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মার্কাজের তাবলীগ জামাতের মাওলানা সাদের অনুসারীরা।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) তাবলিগের শুরা সদস্য মাওলানা আবু তাহেরের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে এ স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন তারা। এ সময় মাওলানা সাদকে বিশ্ব ইজতেমায় বাংলাদেশে আসতে দেওয়া ও নারায়ণগঞ্জের মসজিদগুলোতে সাদপন্থিদের দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়ার দাবি জানান তারা।
স্মারকলিপিতে তারা জানান, দাওয়াত ও তাবলিগের কার্যক্রম সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ। আজ থেকে প্রায় একশত বছর আগে ভারতের দিল্লির নিজামুদ্দীন বাংলাওয়ালী মসজিদ হতে হযরত মাওলানা ইলিয়াছ (রহ.), রসুলুল্লাহ (সা.) ও ছাহাবা (রা.) এর তরিকার অনুসরণ, অনুকরণ- এ মেহনত শুরু করেন। নিজামুদ্দীন বিশ্ব মার্কাজকে যারা অনুসরণ করছেন তারাই মূলত তাবলিগওয়ালা।
তারা আরও জানান, দেওবন্দ মাদরাসার ওয়েবসাইটে ফতুয়াসমূহ রয়েছে। অপর বিশ্ব বরেণ্য আলেম পাকিস্তানের হযরত মাওলানা মুফতি ত্বকী উসমানী (দা. বা.) অক্টোবর মাসে সৌদি-আরবে অবস্থানকালে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন তাবলিগের উভয় পক্ষই হক।