ডার্ক মোড
Monday, 02 June 2025
ePaper   
Logo
দলাদলি চা বাগান এখন আতঙ্কের  নাম তুষার হত্যাকাণ্ডে জেলে নিরীহ দোকানী   আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জালে  প্রকৃত খুনি

দলাদলি চা বাগান এখন আতঙ্কের নাম তুষার হত্যাকাণ্ডে জেলে নিরীহ দোকানী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জালে প্রকৃত খুনি

 
এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া, সিলেট  ব্যুারো:
 
সিলেট নগরীর  দলদলি চা বাগান এখন আতঙ্কের নাম। তুষার  হত্যাকাণ্ডের পর দিনের বেলাও  যাতায়াতে  অনেকেই ভয় পায়  এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।  শাহী ঈদগাহ মাঠে মেলা চলাকালীন সময়ে  হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়  প্রভাব পড়েছে মেলায়। বিভিন্ন নিরীহ  ও ভদ্র পরিবারের অনেকেই  ভয় ভীতির কারণে  আসেননি মেলা প্রাঙ্গণে।  বিশেষ করে  ঊঠতি বয়সি  তরুণ  -  তরুনীরা পরে পারিবারিক বিধি-নিষেধের জালে।  তবে রোডে  পুলিশের উপস্থিতি রয়েছে অনেক কম  কাজে দিন- রাত  পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করে  আতঙ্ক থেকে মুক্তি দিতে হবে  সিলেট নগরীর মানুষ কে।
তবে এই হত্যাকাণ্ডে ঘটনায়  প্রকাশ পেয়েছে  অনেকটাই  যে দলাদলি চা বাগানসহ  বেশ কিছু চা বাগানে শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করে  অথবা কেউ কেউ প্রভাব বিস্তার করে  তালিকাযুক্ত অপরাধীরা  অবস্থান করছে সেসব স্থানে। নিরবে চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন  অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।  দলাদলি চা বাগান  যেন এখন   বিভিন্ন মামলার আসামিদের  মাদক সেবন  ও লুকিয়ে  অবস্থান করার নিরব আস্তানা। 
তুষার হত্যাকাণ্ডের পর  আড়াল করতে  হত্যাকারীরা  ষড়যন্ত্র করে  একটি দোকান কর্মচারীর ছবি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে  তাকে হত্যাকারী সাজিয়ে  পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার  পর্যন্ত  করিছিলো কিন্তু  শেষ পর্যন্ত পার পাইনি তারা   তদন্তে  প্রকৃত আসামি  পড়ে যায়  আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জালে।    গ্রেফতার করা হয় ঢাকা থেকে। 
সিলেট মহানগরের শাহী ঈদগাহ এলাকার দলদলি চা-বাগানে  আইনজীবীপুত্র তুষার আহমদ চৌধুরী (২০) খুনের ঘটনায় মূল আসামিকে আড়াল করার অপচেষ্টা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ওই আসামিকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
 
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ও বর্তমানে নগরের কলবাখানী এলাকার পারভেজ (২০) এবং সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রন্নারচর গ্রামের রাজু দাস (২৩)। গত শনিবার রাতে ঢাকার গাজীপুর এলাকা থেকে তাঁদের কে নিয়ে সিলেট বিমানবন্দর থানা-পুলিশ।
 
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, তুষার হত্যাকাণ্ডের পর একটি কুচক্রী মহল ফেসবুকে গ্যালারিয়া শপিং কমপ্লেক্সের এক দোকানকর্মীর ছবি ও প্রোফাইল লিংক প্রচার করে তাঁকে মূল আসামি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করে। তদন্তে জানা যায়, সেই দোকানকর্মী পারভেজ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া পারভেজ ও রাজু দাস প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 
 বিশিষ্ট আইনজীবী এড:সাজেদ আহমদ চৌধুরীর পুত্র  তুষার আহমেদ চৌধুরী( ২০) গত ১৫  এপ্রিল  সিলেট নগরীর দলদলি চা বাগানের  ভ্যালিসিটি উত্তর পশ্চিম দেয়াল সংলগ্ন এলাকায়  ছুরিকাঘাতে তুষার গুরুতর আহত হন।স্থানীয় লোকজন আশংকাজনক অবস্থায়  তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে যান। রাত সোয়া ১০টায় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
 
  নিহত তুষার নগরীর রায়নগর  ১০২, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাস করতেন। 
 
হত্যাকাণ্ডের পর  ঐদিন রাত ১০ টায়  ভূল তথ্যের ভিত্তিতে  পুলিশ জাবেূদ নামের এক দোকান কর্মচারীকে  আটক করে। ঘটনার দিন রাতে   নগরীর আম্বরখানা এলাকা থেকে  জাবেদ কে আটক করে  সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ।
খুনের ঘটনায় আটক  পারভেজ ও সহযোগীকে 
রিমান্ডে নিয়ে  জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে  প্রকৃত ঘটনা  উদ্ঘাটন হবে বলে  জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের  একাধিক সিনিয়র কর্মকর্তা। 
 
 
 
 

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন

আপনি ও পছন্দ করতে পারেন