ডার্ক মোড
Friday, 27 December 2024
ePaper   
Logo
তাড়াইলে তীব্র গরমে আখের রস বিক্রির হিড়িক

তাড়াইলে তীব্র গরমে আখের রস বিক্রির হিড়িক

তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে তীব্র গরমে আখের রস পান করতে দোকানে ভীড় জমাচ্ছে ক্রেতারা। বুধবার (২২মে) দুপুরের দিকে উপজেলা সদর বাজার ভূমি অফিসের সামনে ভ্রাম্যমাণ আখের রসের দোকানে বিক্রির হিড়িক দেখা গেছে।

পার্শ্ববর্তী করিমগঞ্জ উপজেলার নেয়ামতপুর এলাকার আখের রস বিক্রেতা মুহাম্মাদ আলী আখের রস বিক্রি করতে আসছেন তাড়াইল সদর বাজারে। ভূমি অফিসের সামনে তিনি মেশিনে আখ পিষে রস বের করে গ্লাসে ভরে দিচ্ছেন ক্রেতাদের হাতে। পরম তৃপ্তি নিয়ে পান করছে রস। কেউ নিচ্ছে আরও এক গ্লাস। রসের জন্য দোকানের চারপাশে অপেক্ষা করছে আরও অনেকে।

আখের রস বিক্রেতা মুহাম্মাদ আলী জানান, তাপমাত্রা বেশি থাকায় আখের রস বেশি বিক্রি হচ্ছে। বেলা ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত রস বিক্রি চলে। কেউ কেউ বোতলে ভরে বাড়ি নিয়ে যায়। সারাদিন রোদ থাকায় বাজারে আসা লোকজন বেশির ভাগই আখের রস খেয়ে থাকেন। তিনি আরও বলেন, যে পরিমাণ আখ নিয়ে আসি সব বিক্রি হয়ে যায়। প্রতি গ্লাস আখের রস ১০-২০ টাকা করে বিক্রি করছি।

কেমন বিক্রি হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার আখের রস বিক্রি করতে পারছি। এক হাজার থেকে ১৫শ' টাকা লাভ থাকছে। আরেক আখের রস বিক্রেতা রাব্বি নামের এক তরুণ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বিক্রি বেড়েছে। তাপমাত্রা বেশি থাকায় আখের রসের চাহিদা বেড়ে গেছে। এখন প্রতিদিন আখের রস বিক্রি করছি। শ্রমজীবীরা বিশেষ করে রিকশা, ভ্যান চালকেরা গরমে রস বেশি খেয়ে থাকেন। এছাড়া অনেকে আবার বোতল করে রস বাড়ি নিয়ে যান


উপজেলার তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়নের শামুকজানী গ্রামের শাপলা বেগম আসছেন তার সন্তানদের জন্য বোতলে করে আখের রস নেয়ার জন্য। তিনি বলেন, প্রচুর গরম পড়েছে। বাজারে আসছি আখের রস নেয়ার জন্য। দোকানে প্রচুর ভিড়। সিরিয়ালে থাকতে হয় আখের রসের জন্য।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদর এলাকাসহ গ্রামের বাজারে, সড়কের পাশে বা জনসমাগম হয় এমন সব স্থানে ভ্রাম্যমাণ রস বিক্রেতারা প্রতিদিন আখের রস বিক্রি করেন। গরমের কারণে রসের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। তীব্র গরমে জনজীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। পানির চাহিদা পূরণে আখের রস পান করতে দেখা যায় সাধারণ মানুষদের। ঠান্ডা আখের রসে প্রশান্তি খুঁজেন গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকা সাধারণ মানুষ।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন