ডার্ক মোড
Wednesday, 29 January 2025
ePaper   
Logo
তাহিরপুরে মামলা আপসে ব্যর্থ হয়ে বৃদ্ধকে কুপিয়ে আহত

তাহিরপুরে মামলা আপসে ব্যর্থ হয়ে বৃদ্ধকে কুপিয়ে আহত

এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া, সিলেট

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন ৭৫ বছর বয়সী বয়োবৃদ্ধ আব্দুস ছোবান ওরফে চাঁন মিয়াকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে।

১৪ দিন ধরে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন বয়োবৃদ্ধ সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। আব্দুস ছোবান ওরফে চাঁন মিয়া সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের উওর বড়দল ইউনয়নের আমতৈল গ্রামের মৃত আব্দুর রশীদের ছেলে।

এ ঘটনায় জড়িত উপজেলার আমতৈল গ্রামের আব্দুল হাই মাষ্টার (অব. শিক্ষক) ছেলে এনামুল, লাল মিয়ার ছেলে মুর্শিদ সহ ৭ জনের নামে গত ১৩ জানুয়ারি তাহিরপুর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

রবিবার থানায় দেয়া অভিযোগ ও উপজেলার আমতৈল গ্রামের আহত আব্দুস ছোবান ওরফে চাঁন মিয়ার ছেলে পারিবারীক সুত্রে জানা যায়, জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গেল ১৩ জানুয়ারি রাতে উপজেলার আমতৈল গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে এনামুলের নেতৃত্বে পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে গ্রামের বয়োবৃদ্ধ আব্দুস ছোবান ওরফে চাঁন মিয়াকে ডেকে নেয়া হয় গ্রামের পার্শ্ববর্তী মাটিকাটা (হাওর) বন্দে।

এরপর ধারালো দা দিয়ে এনামুলের নেতৃত্বে বয়োবৃদ্ধের মাথা, ঘাড়,দুই হাত দুই পা কুপিয়ে রক্তার্থ জখম করে মৃত ভেবে হাওরে ফেলে রেখে যায় হামলাকারিরা।

এরপর হাওর থেকে একাধিক টর্চলাইটের আলো জেলে সংঘবদ্ধ হয়ে হামলাকারিরা ফেরার পথে হাওয়রে কিছু ঘটে থাকতে পারে বলে গ্রামের লোকজনের সন্দেহ হয়। এরপর গ্রামবাসী হাওরে গিয়ে গ্রামের বয়োবৃদ্ধকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্যার করে রাতেই তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। সেখানে শরিরীক অবস্থার অবনতি হলে মুমুর্ষ অবস্থায় পরদিন ১৪ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) উপজেলার আমতৈল গ্রামের আহত আব্দুস ছোবান ওরফে চাঁন মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া বলেন, জমি জমা , পুর্বে আদালতে বিচারাধীন একটি মামলার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার বয়োবৃদ্ধকে বাবাকে নির্জন হাওরে কৌশলে ডেকে নিয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে যায়। আমরা এর বিচার চাই। প্রতিপক্ষের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় তাহিরপুর থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও এখনো নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা।

রবিবার আমতৈল আব্দুল হাই মাষ্টার (অব.শিক্ষক) এর ছেলে এনামুলের নিকট তাদের বিরুদ্ধে গ্রামের বয়োবৃদ্ধকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে, নিজেকে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক দাবি করে বলেন,ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই, তবে আমার চাচাত ভাই মুর্শিদ, জামির, আহাদ, সুর আলম হামলা করে।

হামলার কারন হিসাবে জানতে চাইলে এনামুল বলেন, গত ৪ বছর পুর্বে জমি জমা নিয়ে একটি মারামারির ঘটনায় আদালতে বিচারাধীন একটি মামলা আপোসের জন্য চেষ্টা করে ব্যার্থ হওয়ায় সম্ভবত ওই কারনেই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন