তারেক জিয়ার মামলা খেকে খালাশ উপলক্ষে মৌলভীবাজারে আনন্দ মিছিল
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন বলেছেন, দেশে এতোদিন নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালতে ন্যায় বিচার ছিল না। পতিত স্বৈচার সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ খোঁজে ফরমায়েশি রায় দেয়া হতো। গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলায় নিম্ন আদালতের রায় উচ্চ আদালতে নিয়ে কিভাবে সাজার মেয়াদ আরও বাড়ানো হতো তা দেশবাসী স্বাক্ষী।
কিভাবে বিএনপিসহ প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক নেতাদের অনেক মামলায় ফাঁসির রায় দেয়া হয়েছে। অনেক মামলার রায় কার্যকরও করা হয়েছে। যা ছিল বিচারাঙ্গনের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। ময়ূন বলেন যদি ২৪ এর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী হাসিনা জনরোষে দেশ ছেড়ে পালিয়ে না যেতো তাহলে দেশে আরও অনেক বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে হত্যা করা হতো।
জুলাই ২৪ এর ছাত্র জনতার অভ্যূত্থানে দেশের জনগণ নতুন স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। এর ফলে আদালত অঙ্গন থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি বলেন ২১ আগস্টের বিচারিক আদালতের বিচারটা অবৈধ বলা হয়েছে রায়ে। আইনের ভিত্তিতে বিচারটা হয়নি। কোনো সাক্ষীর সঙ্গে কোনো সাক্ষীর বক্তব্যে মিল নেই।
শোনা সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে রায় দেওয়া হয়েছে। আপিল মঞ্জুর করে ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফ্যাসিস্ট হাসিনার উদ্দেশ্য ছিল তার অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের নিশ্চিহ্ন করার। গতকাল রাতে আনন্দ মিছিল শেষে পথসমাবেশে উপরোক্ত কথা বলেন। আনন্দ মিছিল শেষে পথসমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ভিপি মিজানুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য মোশারফ হোসেন বাদশা,এম এ মুকিত,আশিক মোশাররফ,হেলু মিয়া,বকসি মিসবাহ উর রহমান,মতিন বকস, মুহিতুর রহমান হেলাল, মাহমুদুর রহমান,মনোয়ার আহমেদ রহমান,স্বাগত কিশোর দাস, গাজী মারুফ আহমদ, সেলিম মো: সালাউদ্দিন, সদর উপজেলা বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদ,জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ, যুবদল নেতা এম এ নিশাত, জুনেদ আহমদ,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল আহমদ প্রমুখ। এছাড়া আনন্দ মিছিলে জেলা বিএনপি, সদর উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি, জেলা যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।