ঢাবি’র সাথে জাপানের দুই প্রতিষ্ঠানের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত
ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের এজেআই-সিএলই কোম্পানি লিমিটেড এবং রাইয়োবি সিস্টেমস কোম্পানি লিমিটেড-এর মধ্যে বুধবার (১০ জুলাই ২০২৪) এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মঢাবি উপাচার্য অফিস লাউঞ্জে আয়োজিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, এজেআই-সিএলই কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা মি. তাইচি ওয়াতানাবে এবং রাইয়োবি সিস্টেমস কোম্পানি লিমিটেড-এর জেনারেল ম্যানেজার মি. আকিরা তোদা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর এ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেস (কারস)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. ইসতিয়াক এম সৈয়দ, জনসংযোগ দফতরের পরিচালক মাহমুদ আলম, কারস-এর গবেষকবৃন্দ এবং দুই জাপানি কোম্পানির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কারস, এজেআই-সিএলই কোম্পানি লিমিটেড এবং রাইয়োবি সিস্টেমস কোম্পানি লিমিটেড যৌথভাবে অল্টারনেট ওয়েটিং এন্ড ড্রাইং (এডবিøউডি) পদ্ধতি ব্যবহার করে কার্বন ক্রেডিট এবং কৃষি উন্নয়নের জন্য গবেষণা করবে। এছাড়া, তারা এডবিøউডি সেচ পদ্ধতির অনুশীলনের মাধ্যমে কম জল ব্যবহার করে ধানের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও জল সম্পদ সংরক্ষণের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ধান চাষ এবং জমিতে কার্বন গ্যাস পরিমাপের জন্য যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। জাপানের এই দুই কোম্পানি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কারস-এর বায়ু বিশুদ্ধতা ও পরিবেশ দূষণ ল্যাবরেটরিতে এ সংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি ‘গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফ মেশিন’ প্রদান করবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এবং এর সাথে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করায় এজেআই-সিএলই কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাতা মি. তাইচি ওয়াতানাবে এবং রাইয়োবি সিস্টেমস কোম্পানি লিমিটেড-এর জেনারেল ম্যানেজার মি. আকিরা তোদাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত উপকৃত হবে এবং বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি, পরিবেশ সংরক্ষণ, কার্বন নিঃসরণ হ্রাসসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নেবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।