ডার্ক মোড
Sunday, 08 September 2024
ePaper   
Logo
ডিপিএইচই’র প্রাক্কলনিক আনোয়ারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

ডিপিএইচই’র প্রাক্কলনিক আনোয়ারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি

মাঠ পর্যায়ের নির্বাহী প্রকৌশলীদের সাথে যোগসাজস করে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেয়া, নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করে কমিশন বাণিজ্য, পারসেন্টেন্স নিয়ে বিল পাশে সহায়তা, চাহিদামত উৎকোচ না পেলে রি-ইস্টিমেট চেয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীদের হেনস্তাসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগ উঠেছে অত্র প্রকল্পের প্রাক্কলনিক মো. আনোয়ার হোসেন সিকদারের বিরুদ্ধে।

পৌরসভার বাইরে “সরকার সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পটি” হাতে নেয় ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসে, প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের জুন মাসে। অত্র প্রকল্পের মেয়াদ প্রায় শেষ পর্যায়ে হলেও সরকার এখনো তার কাংখিত লক্ষে পৌঁছাতে পারেনি। প্রকল্পের আওতায় গভীর-অগভীর নলকূপ স্থাপন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ-ই এর লক্ষ্য।

মাঠ পর্যায়ে দরপত্রের চাহিদামত কাজ করতে গিয়ে পানির গভীরতা/ভাল লেয়ার না পাওয়ার কারনে অনেক সময় ঠিকাদারদেরকে দরপত্রের চাহিদার চেয়ে অনেক বেশী কাজ করতে হয়, প্রয়োজন হয় বেশী মালামালের- নিরাপদ পানি সরবরাহের স্বার্থে। তখন নতুন করে প্রাক্কলন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলীরা প্রকল্প পরিচালক বরাবর প্রেরণ করেন। আর পিডি-র টেবিলে পাঠানোর আগে তা প্রকল্পের প্রাক্কলনিক মো.আনোয়ার হোসেন শিকদার যাছাই-বাছাই করে থাকেন। সঠিক মনে হলে তিনি সুপারিশ করে পিডির টেবিলে পাঠান চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য।

এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আনোয়ার হোসেন শিকদার নির্বাহী প্রকৌশলীদের জিম্মি করে থাকেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন নির্বাহী প্রকৌশলী জানান চাহিদামত ঘুষ দাবি করেন, তার কথায় রাজি না হলে নানা অজুহাতে রি-ইস্টমেট নিয়ে আসতে বলে নানামূখী হয়রানী করে থাকেন। এক পর্যায়ে নির্বাহী প্রকৌশলীরা বাধ্য হয়ে তার চাহিদা পূরণ করেন বলেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে জানায়।

অভিযোগ আছে, কোন কোন ক্ষেত্রে এক হাজার ফুট বোরিং করার কথা থাকলেও করা হচ্ছে ৭০০ ফুট থেকে ৭৫০ ফুট। উন্নতমানের সাবমার্সিবল পাম্প দেওয়া কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে দেশীয় নিম্নমানের ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার পাম্প। এসব নলকূপের পানি ও পাম্প বুয়েটের ল্যাব কর্তৃক পরীক্ষা করার কথা থাকলেও সেখানেও নেওয়া হয়েছে প্রতারণার আশ্রয়। কয়েকটি ভালো নলকূপের পানি পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে। অথচ অনেক নলকূপের পানিতে অতিরিক্ত আয়রণ, লবণাক্ত, আর্সেনিক ও জীবাণু পাওয়া যাচ্ছে এবং অনেক নলকূপের গভীরতা কম হওয়ায় গ্রীষ্মকালে পানিও পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন উপকারভোগীরা।

রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্রকল্পেও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাজের বিবরণীর বিওকিউতে ভালো কোম্পানির ট্যাংক দেওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। দেওয়া হয়েছে নিম্নমানের পানির ট্যাংক। ঠিকাদারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুস নিয়ে ২০ ভাগ কাজ করা হলেও দেওয়া হয়েছে ৮০ ভাগ বিল।
এভাবে প্রাক্কলনিক আনোয়ার হোসেন শিকদার বিপুল পরিমান অর্থ বিত্তের মালিক বনে গেছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে আনোয়ার হোসেন শিকদার এর মোবাইলে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরবর্তী পর্বে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে তার সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হবে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন