টিটিপিকে নির্মূল করার এখনই সময় : শেহবাজ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাকিস্তানের সার্বিক সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপিকে একটি বড় বাধা হিসেবে উল্লেখ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। দলটিকে নির্মূল করার জন্য এখনই উপযুক্ত সময় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান অ্যাপেক্স কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে শেহবাজ বলেন, “পাকিস্তানের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অব্যাহত রাখার ব্যাপারটি চ্যালেঞ্জিং। আর এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য দু’টি বিষয় খুবই জরুরি। প্রথমটি হলো পাকিস্তানের সব এলাকায় যথাযথ আইনের শাসন নিশ্চিত করা এবং দ্বিতীয়টি হলো টিটিপিকে সমূলে উচ্ছেদ করা। আমরা মনে করি, টিটিপিকে নির্মূল করার উপযুক্ত সময় এখনই।”
“আমরা বিশ্বাস, আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, তাহলে সাফল্যের সঙ্গে এ দুই চ্যালেঞ্জ আমরা উৎরে যেতে পারব।”
আফগানিস্তানের তালেবান বাহিনীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে ২০০৭ সালে পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হয় তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান। গোষ্ঠীটির প্রতিষ্ঠাতা ও শীর্ষ নেতা ছিলেন বায়তুল্লাহ মেহসুদ। টিটিপির বর্তমান শীর্ষ নেতার নাম নূর ওয়ালী মেহসুদ।
পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য খাইবার পাখতুনখোয়ার দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলো টিটিপির প্রধান ঘাঁটি এলাকা। এসব এলাকা থেকেই সারা দেশে ‘অপারেশন’ চালায় দলটি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আমলে ২০২১ সালে পাকিস্তানের সরকারের সঙ্গে অস্ত্রবিরতি চুক্তি করেছিল টিটিপি, কিন্তু তার এক মাস পরেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে গোষ্ঠীটি। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ৩ বছরে পুরো পাকিস্তানে মোট ৪৪৪টি সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে টিটিপি। এসব হামলায় সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে নিহত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৬৬২ জন।
সদ্য বিদায় নেওয়া ২০২৪ সালে টিটিপি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রূপে এসেছে টিটিপি। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে আগের বছর ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে টিটিপির পরিচালিত সন্ত্রাসী হামলার হার ছিল ৭৩ শতাংশ বেশি।
মতবিনিময় সভায় আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে কটাক্ষ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে যে কিছু বহিরাগত ব্যক্তি টিটিপিকে সংগঠিত করতে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকেছে। তাদেরকে দমনে শিগগিরই অবিযান চালানো হবে।”
সূত্র : ডন