ডার্ক মোড
Saturday, 27 July 2024
ePaper   
Logo
ঝিনাইগাতীতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারনায় এমপি

ঝিনাইগাতীতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারনায় এমপি

শেরপুর প্রতিনিধি

কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন শেরপুর ৩ (শ্রীবরদী- ঝিনাইগাতী) আসনের সংসদ সদস্য এডিএম শহিদুল ইসলাম।

জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনারের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে ৮ মে ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে । এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৩ জন, বিএনপির ৩ জনও জাসদের ১জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এসব উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম আমিরুজ্জামান লেবু, বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রী বিশ্বজিৎ রায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ। বিএনপি সমর্থীত সাবেক দুই বারের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা, সোহওয়ারর্দী বাহাদুর লাল ও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

এছারা উপজেলা জাসদের সাধারন সম্পাদক একেএম ছামেদুল হক। উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচন শতভাগ গ্রহণযোগ্যতা করার লক্ষ্যে ঘোষণা করেছেন যে কোন এমপি মন্ত্রী উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারবেন না। বা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা চালাতে পারবেন না। কিন্তু সংসদ সদস্য এডিএম শহিদুল ইসলাম দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ঝিনাইগাতী উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পদক শ্রী বিশ্বজিৎ রায়ের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে আসছেন।

এঅভিযোগ অন্যান্য উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীদের । প্রার্থীরা অভিযোগ করে বলেন সংসদ সদস্য এডিএম শহিদুল ইসলাম ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সদস্যদের ২০ এপ্রিল শনিবার শেরপুরের মৈত্রী বাড়ি মাঠে ডেকে নিয়ে সভা করে বিশ্বজিৎ রায়ের নির্বাচন করে দিতে ও ভোট দেওয়ার জন্য ওয়াদা করান। এর আগেও তিনি কয়েক দফায় ঝিনাইগাতী থেকে শতশত লোকজন তার বাসায় ডেকে নিয়ে বিশ্বজিৎ রায়ের নির্বাচনী সভা করেছেন। যা দলীয় সিদ্ধান্ত বিরোধী ও নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের শামিল। এবিষয়ে সংসদ সদস্য এডিএম শহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার নির্বাচন পরবর্তী কর্মীদের নিয়ে বসা হয়নি। তাই ঈদের পর পুনর্মিলনী করেছি। সেখানে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কিছু কথা হয়েছে। স্বীকার করে তিনি বলেন নির্বাচন সুষ্ঠু করার স্বার্থে তিনি ঢাকায় চলে যাবেন বলে জানান তিনি।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন