ডার্ক মোড
Saturday, 27 July 2024
ePaper   
Logo
জয়পুরহাটে আন্তঃর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

জয়পুরহাটে আন্তঃর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে।

রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে পাকিস্তানি শাসকের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে যারা জীবন উৎসর্গ করেছিল, যাদের আত্মত্যাগে বাঙালি পেয়েছিল ভাষার অধিকার। ফুল আর শ্রদ্ধায় তাদের স্মরণ করছে জাতি।

সারা দেশের ন্যায় জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে জেলা শহরের শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, জেলা প্রশাসন, বিচার বিভাগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন ও আপামর জনতা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রসাশক মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, জেলা ও দায়রা জজ মোঃ নূর ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনসহ অন্যান্যরা।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ২১শে ফেব্রুয়ারি সূর্যদয়ের সাথে সাথে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি ভবনসমূহে সঠিক নিয়মে, সঠিক রং ও মাপের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, সকাল ১০ টায় শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বেলা ১২ টায় কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, সুবিধামত সময়ে অমর একুশে রচনা প্রতিযোগিতা, মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চা, একুশের গান ও কবিতা, বাদ যোহর সকল মসজি, মন্দির, গীর্জা প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাতের জন্য নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় প্রার্থনার আয়োজন, বিকাল ৪ টায় শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কবিতা আবৃত্তি, বিকাল ৪.৩০ মিনিটে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিকাল ৫টায় বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা, সাড়ে ৫টায় বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন বিষয়ক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ, বাদ মাগরিব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাংলা ভাষার দাবীতে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা ভেঙে ফেলা হয় শোষকের শৃঙ্খল। রক্তে ভেসে যায় রাজপথ। গুলিতে বিদীর্ণ হয় বুক। শহীদ হন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা আরো অনেকে। ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে ইতিহাস গড়েন তারা। বাংলা পায় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একাত্তরে জন্ম নেয় স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন