
জ্বালানি তেল-গ্যাস আমদানিতে শুল্ক ছাড়
স্টাফ রিপোর্টার
ডিজেল, প্রাকৃতিক গ্যাসসহ বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে সিএনজি, এনপিজি ও এলএনজি আমদানিতে।
এর মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসের আমদানি শুল্ক ১০০ শতাংশ থেকে এক লাফে ০ শতাংশ করা হয়েছে। অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম, জ্বালানি তেল, গ্যাস ওয়েল, অন্যান্য ভারী তেল ও প্রিপারেশনের আমদানি শুল্ক ০ শতাংশ করা হয়েছে। রিসাইকেলড লুব্রিকেটিং ওয়েল ও রিসাইকেলড লুব বেইজ ওয়েলের আমদানি শুল্কও ০ শতাংশ করা হয়েছে।
সিএনজি, এনপিজি ও এলএনজির আমদানি শুল্ক ১০ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
পেট্রোলিয়াম পণ্যের মধ্যে ক্রুড ও বিটুমিনাস মিনারেল থেকে পাওয়া তেলের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। উড়োজাহাজের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের জেট ফুয়েল, কেরোসিন, নাপথা, বিভিন্ন ধরনের মোটর ও এভিয়েশন স্পিরিট, হোয়াইট স্পিরিট ইত্যাদির আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। লাইট ডিজেল ওয়েল ও হাইস্পিড ডিজেল ওয়েলের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
চলতি জুন মাসের দর অনুযায়ী, প্রতি লিটার ডিজেলের দাম এখন ১০২ টাকা। অকটেনের দাম ১২২ টাকা। আর প্রতি লিটার পেট্রোল কিনতে লাগবে ১১৮ টাকা। কেরোসিনের দাম পড়বে ১১৪ টাকা।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম নিয়মিত ওঠানামা করলেও বাংলাদেশে দামের পরিবর্তন হত দীর্ঘ সময় পর পর। তাতে কখনও ভোক্তা, আবার কখনও সরকারি সংস্থা বিপিসি লোকসানের মুখে পড়ত। এমন প্রেক্ষাপটে গত বছরের মার্চ থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে প্রতি মাসে ভোক্তাপর্যায়ে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করছে সরকার।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমা ও বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়। তবে শুল্ক প্রত্যাহারের ফলে সার্বিকভাবে দাম কিছু কমতে পারে।
‘অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসছে ৬৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস’
খরচ কমাতে দেশি উৎস থেকে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন বলেন, “এ বছরের মধ্যেই অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৬৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করার এবং ২০২৮ সালের মধ্যে স্থানীয় কূপ থেকে অতিরিক্ত ১৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।”বর্তমানে প্রতিদিন ৩৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন হলেও দেশি উৎস থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মেলে। বাকি গ্যাস আসছে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে, এলএনজি আকারে। এলএনজির দাম উঠানামা করায় সরকারকে বিপুল অংকের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।