চা শ্রমিকের দুই মেধাবী সন্তান জিপিএ-৫ পেলেও টাকার অভাবে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে শংকা
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
কমলগঞ্জে চা শ্রমিকের দুই মেধাবী সন্তান জিপিএ-৫ অর্জন করায় স্কুলের শিক্ষার্থী, মা, বাবা, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। দুজনই বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। উচ্চ শিক্ষা শেষে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে তারা। কিন্তু টাকার অভাবে তাদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ নিয়ে শংকা রয়েছে।
জানা যায়, অভাব অনটনের সংসার অরুপ সিংহ ও স্বর্ণালী তেলী কষ্ট করে জীবন যুদ্ধ করে এতদুর এগিয়েছে। মা বাবার স্বপ্ন প্রচুর। কিন্তু বাঁধা অর্থ। সকলের সহযোগীতায় পড়তে চায় তারা। কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর এএটিএম বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এ বছর জিপিএ-৫ অর্জন করেছে কানিহাটি চা বাগানের চা শ্রমিক বিরেন্দ্র সিংহের ছেলে মেধাবী ছাত্র অরুপ সিংহ ও ক্যামেলীয়া ডানকান ব্রাদার্স ফাউন্ডেশন স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে সুদর্শন তেলীর মেয়ে স্বর্ণালী তেলী।
দুই পরিবার অনেক অভাব অনটনের মধ্যে বসবাস করছে। ছেলে মেয়ের লেখাপড়া করানোর জন্য দুই পরিবারের অভিবাবকরা চিন্তিত। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের লেখাপড়া করার সহযোগীতার জন্য ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে কিছু অর্থ প্রদান করেন। এ সময় দুই শিক্ষার্থী ইউএনও এর সহযোগীতার আশ্বস্ত পেয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক ক্যামেলিয়া ডানকান ব্রাদার্স হাসপাতালে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত আছেন।
অরুপ সিংহ ও স্বর্ণালী তেলী বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে, দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করব। আমরা ডাক্তার হয়ে এ দেশের মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করবো।’
শমশেরনগর এএটিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিহির ধর চৌধুরী বলেন, ‘দরিদ্র পরিবারের সন্তান হলেও অরূপ সিংহের মনোবল ছিল দৃঢ়। তার সাফল্যে আমরা গর্বিত।’
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘অদম্য মনোবল আর ইচ্ছাশক্তির কারণে অরুপ সিংহ ও স্বর্ণালী তেলী সাফল্য পেয়েছে। তাদের প্রশাসন থেকে সহযোগীতা করা হবে।