চট্টগ্রামের ইপিজেডে শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ, নারীসহ আহত অনেকে
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) তিনটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত ১০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী চলতে থাকে।
পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, বাৎসরিক ৯ শতাংশ বেতন বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। তাদের আন্দোলনের মুখে অনেক কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নিয়েছে। দেখাদেখি একই দাবিতে অন্য কারখানাগুলোর শ্রমিকরাও আন্দোলন শুরু করে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সকাল ৯টার দিকে যখন আন্দোলনে নামে শ্রমিকরা। হঠাৎ মডিস্ট, জেএমএস এবং মেরিমো কারখানার শ্রমিকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় অনেকের হাতেই লাঠিসোঁটা দেখা যায়। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আহত ১০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, মহিবুল (২৬), ফরিদা (৪০), ইলিয়াস (৩৪), বিদ্যুৎ (৩০), শিউলি (২৪), চঞ্চল (২৮) ও মনোয়ারা (৩৩)।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান জানান, আন্দোলনের সময় কারখানার মূল গেইট খোলা নিয়ে এক কারখানার শ্রমিকের সঙ্গে আরেক কারখানার শ্রমিকের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ঢিল ছুড়তে থাকে। এতে অনেকেই আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুস সোবহান বলেন, জেএমএস এবং মেরিমো কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। একটি কারখানা ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে আরেকটি লাঞ্চের পর ছুটি দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এখানে আর্মি, নেভি, শিল্প পুলিশ এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুটো কারখানাই এক নম্বর সড়কে অবস্থিত। কতজন শ্রমিক আহত হয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।