
গাজীপুরে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, আটক ৫
নিজ্বস প্রতিনিধি
গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানায় এ মামলা হয়। নিহত তুহিনের বড় ভাই মো. সেলিম মামলাটি করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন খান জানান, আজ (শুক্রবার) দুপুর পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহজনক পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, তুহিনের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নিহত তুহিন (৩৮) দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে তুহিন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা মসজিদ মার্কেট এলাকায় এক নারী ও পুরুষের বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ সময় অস্ত্রধারী একদল দুর্বৃত্ত ওই লোককে হামলা করে। ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন তুহিন। অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, একজন নারীকে কেন্দ্র করে বাদশা মিয়াকে আক্রমণ করা হয়। ওই নারীর পূর্বপরিচিত ৪-৫ জন চাপাতিসহ এসে যুবকটিকে কোপাতে থাকে। তখন তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এরপর কী ঘটেছে তা আর সিসি ক্যামেরায় পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি, হামলার ঘটনাটি সাংবাদিক তুহিন তার মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। এর ফলে ঘাতকরা তুহিনকে আক্রমণ করে। তিনি এই ভিডিও কেন করেছে তা জানতে চান এবং সেটি ডিলিট করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এরপর তুহিন যখন ডিলিট করতে রাজি হননি কিংবা ভিডিওর বিষয়টি অস্বীকার করেন, তখন ওই অবস্থাতেই তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে এবং তাকে মেরে ফেলে হামলাকারীরা।’