কুমিল্লায় এবার শীত না পড়লে লোকসানে থাকবে বস্ত্র ব্যবসায়ীরা
লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লা দক্ষিনাঞ্চলের ৬টি উপজেলায় চলমান বছরে জলবায়ুর প্রভাবে শীত না পড়লে মোটা অংকের লোকসান গুনতে হবে এ অঞ্চলের শীত বস্ত্র ব্যবসায়ীদের। ওদের গুদামে পড়ে আছে লাখ লাখ টাকার দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ব্রান্ডের শীতবস্ত্র । পুরোদমে শীত নামতে আর মাত্র দিন কয়েক বাকী।
শীতের আগমনী বার্তাকে পূজি করে জেলা দক্ষিনাঞ্চলের লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, লালমাই, বরুড়া, সদর দক্ষিণ ও নাঙ্গলকোট উপজেলায় বড় বড় বিপনী বিতান ও মার্কেট গুলোর ব্যবসায়ীরা শীতবস্ত্র তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ দিকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভয়াবহ বন্যার তান্ডবলীলায় সকল ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। তার উপর নানাহ ঝুট ঝামেলাতো আছেই।
জানা যায়, গত কয়েক বছর শীত না পড়ায় ব্যবসায়ীক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার শীত বস্ত্র ব্যবসায়ীরা জ্যামিতিক হারে হিসাব কষে শীতবস্ত্র দোকানে তুলছেন। অবশ্য কোন কোন ব্যবসায়ী বলছেন ভিন্ন কথা। পুরনো মালের সাথে নতুন করে কিছু কিছু মাল মিশ্রন করে বেচা-কেনা চালাতে প্রস্তুত অনেকেই। আবার ইতিমধ্যে অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংক-বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে ঋন ও স্থানীয় ভাবে ধার-দেনা করে নতুন ডিজাইনের হরেক রকম শীত বস্ত্র দোকানে তুলতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ভয়াবহ বন্যাসহ নানাহ কারনে এ অঞ্চলের গ্রামীন অর্থনীতি অনেকটা ঝুঁকিতে পড়েছে। ফলে ব্যবসা-বানিজ্যসহ সার্বিক ক্ষেত্রে স্থবিরতা বিরাজ করছে।
লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারের বেশির ভাগ বস্ত্র ব্যবসায়ীরা জানায়, চলতি বছর আশা করছি জলবায়ুর প্রভাব না থাকলে এবার শীতে আমরা ভাল ব্যবসা করতে পারবো। গত কয়েক বছর শীতের প্রকোপ তেমন না থাকায় এ অঞ্চলে প্রায় কয়েক কোটি টাকার শীত বস্ত্র অবিক্রিত রয়ে গেছে ব্যবসায়ীদের গুদামে। তাই চলমান শীতের অবস্থা বুঝে নতুন মাল তোলা প্রকৃতির উপর নির্ভর অনেকটাই ব্যবসায়ীদের।
জেলা দক্ষিনাঞ্চলের ৬টি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে জানা যায়, গত বছর পুরো শীত মৌসুম জুড়ে শীতের তীব্রতা ছিল না বললেই চলে। ফলে বস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগকৃত লাখ লাখ টাকার মাল আটকা পড়ে। এবার তারা নতুন মালের সাথে ওইসব মালগুলো বিক্রি করবেন। বিগত কয়েকবছর তারা শীতের প্রকোপ না থাকায় লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। আবার কারো কারো ব্যবসায়ীক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এখনো গুদাম ভর্তি বহু টাকার শীতবস্ত্র পড়ে আছে। এবার ভালভাবে শীত না পড়লে গতবছরের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না। হাট-বাজার গুলোতে পাইকারী ও খুচরা বাজারের একই চিত্র বিদ্যমান। শীতবন্ত্র ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে।