কক্সবাজার মহেশখালীতে ইএমসিআরপি প্রকল্পের টিউবওয়েল নিয়ে প্রায় কোটি টাকার বাণিজ্য
স.ম ইকবাল বাহার চৌধুরী, কক্সবাজার
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত ইএমসিআরপি প্রকল্পের আওতায় গভীর নলকুপ স্থাপনে চরম নৈরাজ্য চলছে। প্রতিটি নলকুপের বিপরীতে নগদ ৪০/৫০ হাজার টাকা করে আদায়, টিউবওয়েল স্থাপনে যাতায়ত খরচ, শ্রমিকদের থাকা খাওয়া, অতিরিক্ত ফিলটার তত্বাবধায়কের নিকট থেকে আদায় করা ও অবকাঠামো নির্মানে নয়ছয় করা সহ নানাবিধ অনিয়মে সরকারের মহতি উদ্যোগকে সাধারণের মাঝে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।
আর এতে করে মহেশখালী উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ সহকারী প্রকৌশলী সুদর্শন কান্তি দে প্রায় কোটি টাকার বানিজ্য করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় মহেশখালী উপজেলায় ইএমসিআরপি প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামো সহ ২০০ গভীর নলকুপ স্থাপন করছে বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায়।
উক্ত প্রকল্প বাস্থবায়নে বরাদ্দের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতা করে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের মাধ্যমে বরাদ্দ তালিকা করেছে সুদর্শন কান্তি দে নিজেই। তালিকায় থাকা উপকার ভোগী অনেকের সাথে কথা হলে তারা নাম প্রকাশ না করার সর্তে বলেন, যারা তালিকাভুক্ত হয়েছে তাদের সবার কাছ থেকে নগদ সর্ব নিম্ন ৩০,০০০(ত্রিশ হাজার) থেকে সর্বোচ্চ ৫০,০০০(পঞ্চাশ হাজার) টাকা করে আদায় করেছে উপ সহকারী প্রকৌশলী সুদর্শন কান্তি দে(অডিও রেকর্ড সংরক্ষিত আছে)।
বিভিন্ন নিজস্ব সোর্স /ব্যক্তি ও নিজে নগদ এ টাকা গ্রহন করছেন বলে জানান অনেকে। তালিকা করা বিষয়ে এমপি,উপজেলা চেয়ারম্যান, সহ জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে নিয়েছে উপজেলা উপ সহকারী প্রকৌশলীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে তথ্য নিতে গিয়ে জানা যায়, এমপি মহোদয় ও উপজেলা চেয়ারম্যান অনধিক ৫০ টির তালিকা দিলেও সিংহভাগ তালিকা নিজের লোক দিয়ে বড় অংকের টাকা দিয়ে তালিকা করেছেন।
এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা উপ নির্বাহী প্রকৌশলী সুদর্শন কান্তি দে বলেন, কারো কাছ থেকে তিনি নিজ হাতে এত টাকা নেয়নি। তালিকা এমপি উপজেলা চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিরা দিয়েছে। এতে তাঁর কোন হাত নেই।