ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে হবে: ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, পতিত স্বৈরাচার সরকার ছাত্র জনতার আন্দোলনে পালিয়ে গেছে। অবৈধভাবে একটি দেশে আশ্রয় নিয়েছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা সেখান (ভারত) থেকে ষড়যন্ত্র করছে। আজকে ছোট খাটো বিষয় নিয়েও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য যতরকমের ষড়যন্ত্র আছে, সবগুলো করা হচ্ছে। দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে হবে। দেশকে রক্ষা করতে হবে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরম খাঁ হলে ৯০'এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে আয়োজিত ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সম্প্রতির সাথে বসবাস করে আসছে। কিন্তু, আজকে ভারত থেকে শুরু করে আমাদের কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু লোক কেন একটা সমস্যার সৃষ্টি করছে। কেন আমাদেরকে সারাবিশ্বে মানহানি করছে। এটার একটাই উদ্দেশ্য, সেটি হলো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।
তিনি বলেন, আন্দোলনের সফল আজকের সরকার। এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকার নিরপেক্ষ সরকার। এই সরকারকে আমরা সমর্থন করি। এ সরকার একটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা দিয়ে চলে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংস্কার করা উচিত। নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ দেওয়া উচিত।
সভাপতির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী ও ডাকসু'র সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান বলেন, আজকে সকল পাঠ্যপুস্তকে সকল আন্দোলনের পটভূমি সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। সকল নেতৃত্বকারীদের নাম সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, হাজার হাজার ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। এই রাষ্ট্রকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। আজকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে হবে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আজকে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি চলছে এটা আমরা কামনা করিনি। যে আন্দোলন হয়েছে সে আন্দোলনের সফলতা আমরা একটি নির্বাচনের মাধ্যমে পাবো। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতে বসে লন্ডনে একটি জমায়েতে নাকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বক্তব্য রাখবে। এই শেখ হাসিনা বাংলাদেশের আর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্তত ১৫ বছর তাদেরকে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, এসরকারকে আমরা সমর্থন করি। এসরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। এসরকারের হাত ধরেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। আজকে বাংলাদেশে অনেক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে হবে। এছাড়াও বিএনপির দিকে কেউ যদি আঙ্গুল তোলে তাহলে বুঝতে হবে তারা প্রকৃত আন্দোলনকারী নয়।
আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।