ডার্ক মোড
Monday, 20 May 2024
ePaper   
Logo
একেএম ফখরুল আলম আরমান উচ্চ বিদ্যালয় নরসিংদীর একটি আদর্শ ও মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

একেএম ফখরুল আলম আরমান উচ্চ বিদ্যালয় নরসিংদীর একটি আদর্শ ও মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ গ্রামে সবুজ পল্লীতে বেষ্টিত অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে একটি ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ২০১৯ সালে ওই গ্রামের বাসিন্দা একেএম ফখরুল আলম আরমান তার নিজস্ব অর্থায়নে দুই একর জমির উপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। এর নামকরণ করা হয় একেএম ফখরুল আলম আরমান উচ্চ বিদ্যালয়। একেএম ফখরুল আলম আরমান ১৯৫২ সালের ১৫ এপ্রিল আদিয়াবাদ গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

তার পিতার নাম মাওলানা এএম সিরাজুল হক। তার পিতা ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক। একেএম ফখরুল আলম আরমান মুন্সিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, হাড়গঙ্গা সরকারী ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে ডিগ্রি পাশ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে অয়েল রিফাইনারী নামে একটি কোম্পানীতে সহকারী রাসায়নীক বিদ হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন। একেএম ফখরুল আলম আরমান এর তিনটি মেয়ে রয়েছে। তারা সকলেই বিদেশে লেখাপড়া করছেন। চাকুরী জীবন শেষ করে তিনি তার স্ত্রী আনারকলি আলমের অনুপ্রেরণায় এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। আনারকলি আলমও একজন শিক্ষিকা। ২০১৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে মাত্র ২০০জন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে ক্লাস শুরু করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৫০০ ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে ২ জন অফিস সহকারী ও ২২ জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে। এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয়ক হচ্ছে, বিদ্যালয়টিতে পর্যাপ্ত শ্রেণী কক্ষসহ দৃষ্টিনন্দন সুবিশাল একটি একাডেমিক ও আইসিটি ভবন রয়েছে। খেলাধুলার জন্য রয়েছে একটি বিশাল মাঠ। এছাড়া শিক্ষক, শিক্ষিকাদের জন্য এবং ছাত্র ছাত্রীদের জন্য পৃথকভাবে ওয়াশরুম নির্মাণ করা হয়েছে। অপর দিকে শিক্ষিকা-ছাত্রী এবং শিক্ষক-ছাত্রদের জন্য পৃথকভাবে নামাজঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি একেএম ফখরুল আলম আরমান জানান, বর্তমানে উক্ত বিদ্যালয়ে ৫০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। সমাজের অসহায়, গরীব ও ঝড়েপড়া শিক্ষার্থীদের খোঁজে বের করে এনে তিনি অত্র বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে পাঠদান করান এবং উচ্চ শিক্ষায় সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন। কোনো শিক্ষার্থী বেতন দিতে না পারলে তিনি তার নিজস্ব তহবিল থেকে তার বেতন পরিশোধ করে। প্রতি মাসে তিনি তার তহবিল থেকে স্টাফদের বেতন বাবদ ৩ লাখ টাকা করে ভর্তকি দিয়ে আসছেন। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত কিছু কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ ছাড়া সরকার থেকে আর কিছুই পাননি।

বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত করা হয়েছেকিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০২৪ সালে তিনি এ বিষয়ে আবেদন করবেন। তিনি আরো জানান, সরকার থেকে সাহায্য সহযোগিতা পেলে তিনি এ বিদ্যালয়টিকে নরসিংদী জেলার মধ্যে একটি আদর্শ এবং মডেল বিদ্যাপিঠ হিসেবে গড়ে তুলবেন। এলাকার অসহায় এবং গরীব শিক্ষার্থীরা যাতে এখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তবে লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে, এ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ার প্রয়োজন হয়না। অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার ঘাটতি পূরণ করা হয়।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন