ডার্ক মোড
Tuesday, 17 September 2024
ePaper   
Logo
আমনের বীজতলা নষ্ট চারা-সংকটে দিশেহারা চাষিরা

আমনের বীজতলা নষ্ট চারা-সংকটে দিশেহারা চাষিরা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর চাষিরা এবার আমন চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। উত্তর অঞ্চলের দুই দফা বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে দশমিনা উপজেলার বেশির ভাগ জমির বীজতলা চারা সংকটে দিশেহারা চাষিরা। নতুন করে বীজতলা তৈরি করারও অবস্থাও নেই এখন। ফলে বেশি দামে চারা ক্রায় করে চাষ করছেন চাষিরা। এদিকে প্রতি কেজি আমনের চারা ৭শ’ থেকে ১হাজার টাকা দরে ক্রায় করে আমন চাষ করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ি ঢলের চাপে তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর বেড়িবাঁধের সহ শাখা খালের প্রায় ২২টি স্থান ভাঙ্গে পানি ঢুকে বাঁশবাড়িয়া, বহরমপুর, বেতাগী সানকিপুর, আলীপুরা, দশমিনা, রনগোপালদী ও নদী বেষ্টিত চর বোরহানের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। চলতি বছর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে বিভিন্ন জাতের ১৮হাজার ১৭২ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। তবে নতুন নতুন ফল বাগান তৈরির ফলে গত বছরের তুলনায় ২শ’ ২৮হেক্টর কম হয়েছে বলে দাবী কৃষি অফিসের। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৬০ হেক্টর রোপা আমনের বীজতলার ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঁশবাড়িয়া, বহরমপুর, বেতাগী সানকিপুর, আলীপুরা, দশমিনা, রনগোপালদী ও নদী বেষ্টিত চর বোরহান গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত আমনের খেতে পচে যাওয়া চারা পড়ে আছে। কোনো স্থানে বীজতলা নেই।

এবিষয়ে বাঁশবাড়িয়া গ্রামের কৃষক নুর হোসেন মৃধা, আলতাব মাতুব্বার ও সেলীম মিয়া বলেন, অতি বৃষ্টির আর পাহাড়ী ঢলেল পানিতে আমনের বিজ তলা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন প্রতি কেজি আমনের চারা কিনতে হয় ৭শ’ থেকে হাজার টাকায়। এতে খরচ বেশি হবে আমাদের। আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। দক্ষিন দাস পাড়া গ্রামের কৃষক শংকর চন্দ্র শীল ও জামাল হাওলাদার বলেন, প্রায় চার একর জমিতে রোপা আমন লাগিয়েছিলেন। বন্যার পানিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে লাগানোর চারা নেই। এবার আর চাষ করতে পারবেন কি না এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।

এবিষয়ে দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর আহম্মেদ বলেন, ক্রায় করে হলেও কোন জমিতে আমন চাষ বন্ধ রাখা যাবেনা। প্রয়োজনে গোছিকম দিয়ে হলেও আমন চাষ করা হবে। কৃষকরা বিভিন্ন স্থান থেকে আমনের চারা ক্রায় করে আমন চাষ করছেন।#

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন