মিরসরাইয়ে বিএনপি'র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৫জন আহত থানায় মামলা ও বিক্ষোভ
মিরসরাই ( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী ও বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির আহবায়ক মঈন উদ্দিন লিটনও রয়েছে। এসময় জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগীতা না পাওয়া অভিযোগ করে থানায় বিক্ষোভ করে বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা। রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসদরের জোবেদা ফার্মেসির সামনে এই ঘটনা ঘটে। রাতে হামলার শিকার মাইনূর ইসলাম রাহাত বাদি হয়ে ৪০ জনের নাম প্রকাশ করে অজ্ঞাত আরো ২৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। । গুরুতর আহত অবস্থায় গোলাম মাওলা নামের একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, রবিবার রাতে বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক মঈন উদ্দিন লিটনসহ আমাদের বেশ ক'জন নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে বারইয়ারহাটস্থ কাশবন রেস্টুরেন্টে চা নাস্তা খেয়ে বের হলে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া সন্ত্রাসীরা আমার এবং নেতাকর্মীদের উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম ও বারইয়ারহাট পৌরসভার বিএনপির সাবেক আহবায়ক দিদারুল আলম মিয়াজীর অনুসারীরা আমাদের উপর এই ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। পুলিশকে ফোন দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।
এ ব্যাপারে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বারইয়ারহাট বড় বাজার এখানে নিয়মিত আমাদের শতশত নেতাকর্মীরা অবস্থান করে। কাঁশবন হোটেলের সামনে আমাদের ছাত্রদল যুবদলের কয়েকজন নেতাকর্মী দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের অনুসারী নেতাকর্মীরা আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে কটূক্তি করে। সেটি বাকবিতন্ডায় জড়ায়। তারাই প্রথমে হামলা করে। তাদের হামলায় শাফায়েত হোসেন শুভ, শাহীন আলম নিশাত, তানবীর হোসেন, মোঃ বাদশা, জাহিদুল ইসলাম সহ একাধিক ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ সূত্রে জানা গেছে হামলায় আহত হওয়া ৪ জনকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়া মাওলা নামে একজন গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার সময় পুলিশের সহযোগীতা না পাওয়ার অভিযোগ করে রাতে থানার ভিতরে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপির একাংশ। এসময় কয়েকটি বিকট শব্দ শুনা যায়। ঘটনার পর আহত মাইনূর ইসলাম রাহাত নামে এক ব্যাক্তি বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক দিদারুল আলম মিয়াজিকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ্য ও আরো ২৫জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হামলার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
