তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীরা
সিলেট ব্যুরো
অনিয়ম দুর্নিীতির বেড়াজালে আটকা পড়ে দীর্ঘদিনেও নিরসন হয়নি সিলেট মেডিকেল বিশ্বদ্যিালয়ের নিয়োগ জটিলতা।ফলে প্রায় ১ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও চাকুরির স্থায়ীকরণ। তাই বেতনভাতাসহ চাকুরি স্থায়ী করণসহ ৩দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারিরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘সিমেবি কর্মচারী পরিষদ’ এর উদ্যোগে এ আন্দোলন কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১০টা ১মিনিটে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আন্দোলনে নামেন সিমেবি কর্মচারী পরিষদের সদস্যবৃন্দ।
সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মচারীরা।
এর আগে একই দাবিতে ‘গণসাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি’ ও প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, প্রায় এক বছর যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। নানা জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দু’দফায় জনবল নিয়োগের জন্য সার্কুলার আবেদন করলেও নানা জটিলতায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি। আন্দোলনকারীরা প্রাধনমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
দীর্ঘদিন যাবত বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা: এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের সাথে সাক্ষাৎ করলেও তিনি কেবল আশ্বস্তই করে যাচ্ছেন।
সিমেবি কর্মচারী পরিষদের সদস্য সচিব নাদিম সীমান্ত জানান, ৩ দফার বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচীর ডাকা দেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন। তিনি সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
দাবিগুলো হলো, নিঃশর্তে সকল পর্যায়ের কর্মচারীদের চাকুরী স্থায়ী করণ , ১ বছর যাবত বন্ধ থাকা বেতন-ভাতাদি অবিলম্বে পরিশোধসহ বেতন-ভাতা নিয়মিত করণ। কর্মস্থলে কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবিলম্বে নিজস্ব স্থায়ী জায়গায় স্থানান্তর।
উল্লেখ্য, সিলেট মেডিকেল বিশ্বদ্যিালয়ের শুরুতে অনিয়মের মাধ্যমে প্রায় আড়াইশ কর্মচারি নিয়োগ দেয় কর্তপক্ষ।এহেন নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় সিলেটসহ দেশজুড়ে।
ফলে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তে অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতীয়মান হওয়ায় প্রায় এক বছর ধরে এসব কর্মচারীর বেতন ভাতা বন্ধ রাখা হয়। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।
Comment / Reply From
You May Also Like
Latest News
Vote / Poll
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা বন্ধ করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগ যথেষ্ট বলে মনে করেন কি?