Dark Mode
Wednesday, 14 May 2025
ePaper   
Logo
জয়পুরহাটে ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ফসল নষ্টের কাঙ্খিত ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগ: ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ইটভাটার বিরুদ্ধে

জয়পুরহাটে ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে ফসল নষ্টের কাঙ্খিত ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগ: ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ইটভাটার বিরুদ্ধে

 

জয়পুরহাট প্রতিনিধি 
 
জয়পুরহাটে ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে শত বিঘা জমির বোরো ধান পুড়ে নষ্টের ঘটনায় ৯৫ জন কৃষকের মাঝে ক্ষতিপূরণ দিলেও তা কাঙ্খিত ক্ষতিপূরণ নয় এমন অভিযোগ কিছু কৃষকের। এদিকে ভাটা মালিকের বিরুদ্ধে এখনও দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ কৃষক ও স্থানীয়রা। পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস উপজেলা প্রশাসনের।
 
সম্প্রতি জয়পুরহাট সদর উপজেলার পূরানাপৈল এলাকার আরএনবি নামের ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ৯৫ জন কৃষকের পুড়ে গেছে জমির ধান, কলা ও ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে যায়। বারবার এমন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এঘটনার বিচারের দাবিতে গত ২৭ এপ্রিল হিলি-জয়পুরহাট আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগও করে। পরে উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা ক্ষতিগ্রস্থ ফসলের মাঠ পরিদর্শন করে ক্ষতিপূরণসহ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। 
 
এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে সদর উপজেলা হলরুমে ৯৫ জন কৃষকদের মোট ৮ লাখ ৫১ হাজার ৮৭০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। তবে লোকশান অনুযায়ী এ ক্ষতিপূরণ যথেষ্ট নয় বলছেন অনেক কৃষক। তবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময় ইটভাটা কর্তৃপক্ষ কেউ উপস্থিত ছিলেননা। তাই বারবার এমন ঘটনায়  ভাটা বন্ধের দাবি জানান তারা।
 
পুরানাপৈল বড়তাজপুর এলাকার কৃষক আজাদুল বলেন, এক বিঘা জমিতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার ধান বিক্রি হয়। সেখানে এক বিঘাতে ২৬শ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছি। নতুন করে সমাধান চাই। না হলে আমার টাকা ফেরৎ লেক।
 
গতনশহর এলাকার কৃষক মশিউর রহমান বলেন, আমার ১৫ শতক জমিতে ১ হাজার ৮০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। পাশের জমিতে অন্য কৃষকদের দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ১৪  হাজার টাকা বিঘা। একই জায়গায় জমি এটা কেমনে হলো? কৃষি বিভাগ কি তদন্ত করলো? কৃষি বিভাগ কত পারসেন্ট দিয়েছে আমি জানতে চাই।
 
পুরানাপৈল ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরমান আলী (হিরো) বলেন, কৃষক ক্ষতিপূরণ দিয়েছে ভাল কথা। কিন্তু এর আগেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, আবারও পরবর্তীতে কৃষকদের এমন ক্ষয়ক্ষতি হবেনা এর নিশ্চিয়তা নাই। এজন্য ইউএনও স্যারের কাছে অনুরোধ করবো ভাটা বন্ধের ব্যবস্থা অথবা নিষেধাজ্ঞা দেয়।
 
জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশেদুল ইসলাম জানান, ভাটা মালিকের সহযোগিতায় ৯৫ জন কৃষকের মাঝে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে আমরা জানিয়েছি, পরিবেশ ছাড়পত্র আছে কিনা অধিকতর তদন্ত করে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদন স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কৃষকরা কাঙ্খিত ক্ষতিপূরণ না পেলে কৃষিবিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করলে বিষয়টি দেখা হবে।
 

Comment / Reply From

You May Also Like

Vote / Poll

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা বন্ধ করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্যোগ যথেষ্ট বলে মনে করেন কি?

View Results
হ্যাঁ
0%
না
0%
মন্তব্য নেই
0%

Archive

Please select a date!