ডার্ক মোড
Tuesday, 22 April 2025
ePaper   
Logo
    আদালতের নির্দেশে অভিভাবকের জিম্মায় ৪৯ শিশু

  আদালতের নির্দেশে অভিভাবকের জিম্মায় ৪৯ শিশু


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

কারাগারে নয়, বই হাতে ৪৯ জন শিশু অভিযুক্তকে সংশোধনের জন্য প্রবেশনে বাবা-মায়ের কাছে থাকার অনুমতি দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও শিশু আদালত।
৩৫টি মামলায় অভিযুক্ত এসব শিশু ১০টি শর্তে বাবা-মায়ের কাছে থাকতে পারবে।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) সকালে সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন।
সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও আদালতের সরকারি কৌঁশুলী অ্যাডভোকেট নান্টু রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ৩২৩ ধারায় সুনামগঞ্জে ৩৫টি মামলায় ৪৯ জন শিশুকে মামলায় জড়ানো হয়। ক্ষুদ্র একটি অভিযোগে এসব শিশুদের প্রায়ই আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। এতে এসব শিশুদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাদের শিক্ষাজীবন ব্যহত হচ্ছে। বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি দিতে কারাগারে না পাঠিয়ে ১০ শর্তে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রেখে সংশোধনের নির্দশ দেওয়া হয়েছে।
শর্তগুলো হলো- ‘একশ মনীষীর জীবনী’ গ্রন্থটি পাঠ করা, বাবা-মাসহ গুরুজনদের আদেশ নির্দেশ মেনে চলা, বাবা-মায়ের সেবা এবং কাজে-কর্মে তাদের সাহায্য করা, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, নিয়মিত ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা, প্রত্যেকে কমপক্ষে ২০টি করে গাছ লাগানো এবং পরিচর্যা করা, অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা, মাদক থেকে দূরে থাকা, ভবিষ্যতে কোনো অপরাধের সাথে নিজেকে না জড়ানো এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।
এসব শর্ত মানা হচ্ছে কি না তা প্রবেশন কর্মকর্তা মো. শফিউর রহমান পর্যবেক্ষণ করবেন। তিন মাস পর পর তাকে বিষয়গুলো জানাতে নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
সুনামগঞ্জ জেলার প্রবেশন কর্মকর্তা মো. শফিউর রহমান বলেন, ‘আদালত যে রায় দিয়েছেন, সেটি শিশুদের ভবিষ্যতে বেড়ে উঠতে কাজে লাগবে। শিশুরা অপরাধ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবে। আদালত তাদের ১০টি শর্ত দিয়েছেন। আমি সেগুলো নদরদারি করব।’

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন