
সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আদেশ ট্রাম্পের
রয়টার্স
সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে একটি নির্বাহী আদেশ সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় দেশটির একঘরে অবস্থার অবসান ঘটল।
প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের ছয় মাসেরও বেশি সময় পর সিরিয়ায় বিনিয়োগের পথ খুলে দিতে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ।
২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সিরিয়ার আসাদ সরকার ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর বেশির ভাগ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এতে আসাদের শাসনামলে সিরিয়ার অর্থনীতি প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
গতবছর ডিসেম্বরে বাশার-আল-আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে সিরিয়ার বর্তমান শাসক আহমেদ আল–শারা সরকার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের সম্পর্ক পুনর্প্রতিষ্ঠা করার পদক্ষেপ নিয়েছেন।
গত মে মাসে মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় ট্রাম্প রিয়াদে সিরিয়ার শাসক শারার সঙ্গে দেখা করার পর অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সোমবার সেই আদেশই দিলেন ট্রাম্প। তার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আদেশের পর স্যোশাল মিডিয়া এক্সে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল শিবানি বলেছেন, এই পদক্ষেপ সিরিয়ায় দীর্ঘ প্রতিক্ষীত পুনর্গঠন ও উন্নয়নের দ্বার খুলে দিবে।
তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে সিরিয়ার অর্নীতি পুনরুদ্ধারের পথে বাধা সরে যাবে এবং সিরিয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বার খুলে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ট্রাম্পের আদেশে সিরিয়ার উন্নয়ন ও সরকারি কার্যক্রম পরিচালনাসহ দেশটির সামাজিক কাঠামো পুনর্গঠনের জন্য জরুরি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ইতোমধ্যে বেশ কিছু সিরীয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে সরানো হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। তবে মন্ত্রণালয় এও বলেছে যে, কিছু নিষেধাজ্ঞা এখনই প্রত্যাহার করা হচ্ছে না।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল-আসাদ ও তার সহযোগী, জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও তাদের অনুসারী, ইরান ও এর মিত্রদের ওপর সংশ্লিষ্ট যেসব নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেগুলো বহাল থাকবে।