ডার্ক মোড
Sunday, 13 July 2025
ePaper   
Logo
শ্রীপুরে শিক্ষার্থীকে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি ও মারধর: নেপথ্যে প্রেম কাহিনি, মূল হোতা ওবাইদুল

শ্রীপুরে শিক্ষার্থীকে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি ও মারধর: নেপথ্যে প্রেম কাহিনি, মূল হোতা ওবাইদুল

 
 
এস এম জহিরুল ইসলাম, শ্রীপুর (গাজীপুর)
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীকে নকল পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি ও মারধরের ঘটনায় আবু কাওসার নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে অভিযোগ উঠেছে, এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তি—একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ওবাইদুল—দায়মুক্তি পেয়ে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে তাকে মামলার আসামি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
 
ঘটনাটি ঘটে শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া এলাকায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফেরদৌস জানায়, বিদ্যালয় ছুটির পর সে সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুলভ্যানের জন্য অপেক্ষা করছিল। এমন সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওবাইদুলের নেতৃত্বে ফেরদৌসের ওপর হামলা চালানো হয়। স্থানীয় দোকানদার হস্তক্ষেপের চেষ্টা করলেও সন্ত্রাসীরা ক্ষান্ত হয়নি। এক পর্যায়ে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়—আবু কাওসার নামে এক ব্যক্তি পিস্তল নিয়ে ফেরদৌসকে ভয় দেখিয়ে মারধর করতে করতে তাকে জোরপূর্বক বাড়িতে নিয়ে যায়।
 
ফেরদৌসের অভিযোগ, সহপাঠী ওবাইদুল একই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি শিক্ষক-প্রশাসনের নজরে যাওয়ার আশঙ্কায়, ফেরদৌসের বন্ধু শাকিলকে না পেয়ে প্রতিশোধ হিসেবে তাকে টার্গেট করে হামলা চালানো হয়।
 
ঘটনার নেপথ্যে ওবাইদুলের সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকলেও তাকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। মামলার বাদী সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ও ভুক্তভোগী ফেরদৌসের মা দাবি করেন, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হাশেমের প্রভাবেই মূল হোতা ওবাইদুলকে রক্ষা করা হয়েছে।
 
এদিকে পুলিশ গড়গড়িয়া মাষ্টারবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবু কাওসারকে গ্রেপ্তার করে। তার বাসা থেকে একটি নকল খেলনা পিস্তল ও একটি ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল বারিক। জিজ্ঞাসাবাদে কাওসার স্বীকার করেছেন যে, তিনি অনলাইন থেকে অস্ত্রসদৃশ খেলনা কিনে তা ভয়ভীতি প্রদর্শনে ব্যবহার করতেন। তাকে গত বুধবার (০৯ জুলাই) আদালতে পাঠানো হয়েছে।
 
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি—এই হামলার নেপথ্য নায়ক ওবাইদুলকে আইনের আওতায় না আনা হলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে। তারা দ্রুত তাকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে কঠোর বিচার দাবি করেন।
 

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন