শেরপুরে মহারশি থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ, ৫ শতাধিক শ্রমিক বেকার
খোরশেদ আলম, শেরপুর
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে ৫ শতাধিক বালু শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন। জানা গেছে, প্রতিবছরের মতো চলতি বছরে ও প্রায় দেড় কোটি টাকায় টেন্ডারের মাধ্যমে মহারশি নদীর বালু মহালটি ইজারা লাভ করেন শেরপুরের আসাদুজ্জামান স্বপন।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বালু মহালটি ইজারাদারকে বুঝিয়ে ও দেয়া হয়। ১ বৈশাখ থেকে যথারীতি বালু উত্তোলন চলে আসছিল। জানা গেছে, এ বালু মহালে নানাভাবে প্রায় ৫শত শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। জানা যায়, গত ৫ আগস্ট সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের ঘোষণা পরপরই এ বালু মহালের উপর প্রভাব পড়ে দুর্বৃত্তায়নের।
বালু মহালের ইজারাদারের ব্যবসায়ী শেয়ারদার ফারুক মিয়া জানান, কিছু সন্ত্রাসী ওইদিন বিকালে হলদীগ্রাম বালু মহালে এসে বালু শ্রমিক ও বালু মহালের ইজারাদারের লোকজনকে হুমকি দেয়া হয় বালু উত্তোলন করা হলে বালু উত্তোলন যন্ত্র ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেওয়া হবে।
এ ভয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন বালু শ্রমিকরা। এঘটনার পর থেকে মহারশি বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। আর বালু মহালে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পরেছে বালু মহালের সাথে জরিত ৫ শতাধিক শ্রমিক বালু শ্রমিক। বালু শ্রমিক, লিটন মিয়া, আব্দুস সালাম, রহিম মিয়াসহ আরো অনেকেই বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধ থাকায় প্রায় ৫ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। শ্রমিকদের ঘরে এখন খাবর নেই।
পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছেন। ঘটনান শত্যতা নিশ্চিত করেছেন বালু মহালের ইজারাদার আসাদুজ্জামান স্বপন। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহ জাহান আকন্দ বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে কথা হলে শেরপুরের জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম বলেন, বালু মহাল ইজারা দেয়া হয়েছে। বালু উত্তোলনে কেউ বাধা দিলে আইনী সহায়তা নিতে পারেন।