ডার্ক মোড
Tuesday, 22 April 2025
ePaper   
Logo
শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

স্টাফ কোর্সপোন্ডেড

 

আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রচেষ্টার প্রতি বাংলাদেশের অবিচল অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বাংলাদেশ থেকে আরও নারী শান্তিরক্ষী নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।রবিবার (২০ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিষয়ক আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ-পিয়ের ল্যাক্রোয়া সাক্ষাৎ করতে গেলে এ আহ্বান জানান তিনি।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার সময় ড. ইউনূস বলেন, ‘শান্তিরক্ষা মিশনে আরও বেশি বাংলাদেশি নারী অংশগ্রহণ করুক—বিষয়টিকে আমি উৎসাহিত করি।’বাংলাদেশ অতিরিক্ত সেনা ও পুলিশ সদস্য মোতায়েনে প্রস্তুত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। জাতিসংঘের পিসকিপিং ক্যাপাবিলিটি রেডিনেস সিস্টেমের (পিসিআরএস) র‌্যাপিড ডিপ্লয়মেন্ট লেভেলে ৫টি ইউনিট প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।তিনি জাতিসংঘের সদর দপ্তর ও মাঠপর্যায়ে শান্তিরক্ষী নেতৃত্বে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান জানান। এ বিষয়ে জাতিসংঘও বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে বলে জানান ল্যাক্রোয়া।

বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে শান্তিরক্ষা মিশনে শীর্ষ ৩টি সেনা/পুলিশ প্রেরণকারী দেশের মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে ১১টি সক্রিয় শান্তিরক্ষা মিশনের মধ্যে ১০টিতে বাংলাদেশের মোট ৫ হাজার ৬৭৭ জন শান্তিরক্ষী কর্মরত।

বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল শান্তিরক্ষায় আরো বেশি নারীর সম্পৃক্ততা বাড়ানোর নীতিতে অটল রয়েছে বলেন উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা নারীদের নির্দিষ্ট কিছু ভূমিকায় সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। শান্তিরক্ষার সব স্তরে নারীদের নিয়োগে জাতিসংঘ সহায়তা করবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী যাচাইকরণ প্রক্রিয়া বাংলাদেশ কঠোরভাবে অনুসরণ করে এবং মানবাধিকার নিশ্চিতে প্রশিক্ষণ ও জবাবদিহিতা জোরদারে জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ আগ্রহী।

বৈঠকে জানানো হয়, জার্মানির বার্লিনে ১৩-১৪ মে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশ বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল অংশ নেবে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

মিয়ানমারে চলমান সংঘাত এবং সীমান্তে গুলিবিনিময়, বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ও নাফ নদীর আশপাশে জীবন-জীবিকার বিঘ্ন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, চলমান অস্থিরতা আরো বাড়তে পারে, যা নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করবে। তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরো কার্যকর উদ্যোগের আহ্বান জানান।

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সাম্প্রতিক কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন রোহিঙ্গাদের মধ্যে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আশার সঞ্চার করেছে।

মন্তব্য / থেকে প্রত্যুত্তর দিন